মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দেশের ৪১ শতাংশ কর্মী দক্ষতা ছাড়াই কাজ করছেন

আকতারুজ্জামান

দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সীমিত ক্ষমতা ও মনোযোগের অভাবে দক্ষ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। ফলে প্রায় ৪১ শতাংশ কর্মী পেশাগত দক্ষতা ছাড়াই কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। ‘সবার জন্য শিক্ষা জাতীয় পর্যালোচনা বাংলাদেশ ২০১৫’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি ব্যানবেইস ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনেস্কো ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিস।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীদের সাধারণ শিক্ষা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ ক্ষেত্রে ইউনেস্কো ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিস পেশাগত দক্ষতা               বৃদ্ধিতে কয়েক দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য একটি সমন্বিত ও নিবিড় প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক সামাজিক নিরাপত্তা ও শোভন কাজের জন্য কর্মীর অধিকারকে বিবেচনা করে গতিশীল শ্রমবাজারের প্রতি মনোযোগ দিয়ে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিকে ভিত্তি করে দক্ষতা উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির প্রয়াস নিতে হবে। এ ছাড়া সাধারণ ও মাধ্যমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা-পরবর্তী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মধ্যে ব্যাপক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০০৯ সালে ১ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতো। বর্তমানে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় সরকার গুরুত্ব দেওয়ায় এ সেক্টরে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী ১০ শতাংশের বেশি কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে আশা করছি, আমরা এ হার ২০ শতাংশে উন্নীত করতে পারব। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, পলিটেকনিক, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বর্তমানে ৭ হাজারের বেশি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলছে। কারিগরি শিক্ষায় মেয়েদের শিক্ষিত করতে ২০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি চালু করেছে বর্তমান সরকার। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, কারখানাগুলোর চাহিদা মাফিক কারিক্যুলামে তাদের শিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে। আশা করছি, এসব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা পেশাগত দক্ষতা অর্জন করবেন।

সর্বশেষ খবর