দেশের আকাশসীমার পাশাপাশি বিশাল সমুদ্রের জলসীমা নজরদারির আওতায় আনতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কক্সবাজার রাডার ইউনিটে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার (ওয়াই এলসি-৬) সংযোজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল কক্সবাজার রাডার ইউনিটে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই আধুনিক রাডারের উদ্বোধন করেন। তিনি রাডার ইউনিটের অধিনায়ক উইং কমান্ডার মেসবাহ-উস সাত্তারের কাছে সংযোজন আদেশ হস্তান্তর  করেন। এরপর বিমানবাহিনী তথা জাতির অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। পরে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন এবং বাহিনীর যুদ্ধবিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট প্রত্যক্ষ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের এয়ার অধিনায়ক এয়ার কমডোর মো. পারভেজ ইসলাম বাহিনীতে নবসংযোজিত রাডার সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে ব্রিফ প্রদান করেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিএএফ জাতীয় নিরাপত্তার এবং রাডার সংযোজনের মাধ্যমে জাতির অগ্রগতির জন্য আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যুদ্ধের সময় রাডার শত্রুপক্ষের জঙ্গি বিমানের উপস্থিতির আগাম সংকেত দিয়ে থাকে। এতে কার্যকর প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে। সংযোজিত নতুন রাডার সমুদ্র জলসীমায় বিমান প্রহরায় নির্দেশনা দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, ‘ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে বিমান বাহিনী আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি।’ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, কোনো বাহিনীর সফলতার জন্য পেশাগত দক্ষতার বিকল্প নেই। দক্ষতা আস্থা বৃদ্ধি করে এবং খ্যাতি ও মর্যাদা বয়ে আনে। ফলে নিজেকে উন্নত ও সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একজন দক্ষ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, কন্ট্রোলার এবং আদর্শ বিমানসৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে উত্তম প্রশিক্ষণ, কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কঠোর পরিশ্রম ও সততার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘দৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম, উৎসর্গ, দেশপ্রেম এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার আপনার পেশাগত জীবনে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছতে সহায়ক হতে পারে। আপনার কাছে জনগণের প্রত্যাশা, তাদের কল্যাণের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা এবং তাদের ও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’