শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কনডেম সেলে ঐশীর প্রথম রাত কাটল কান্নাকাটি করে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কনডেম সেলে ঐশীর প্রথম রাত কাটল কান্নাকাটি করে

মা-বাবাকে খুন করার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমান এখন কনডেম সেলে। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কনডেম সেলে স্থানান্তর করা হয়। একই সঙ্গে তার পোশাকেও পরিবর্তন এসেছে। তাকে দেওয়া হয়েছে কয়েদিদের নির্ধারিত সাদার ওপর খয়েরি রঙের ডোরা কাটা শাড়ি। কারা সূত্র জানায়, কনডেম সেলের ভিতর প্রথম রাতটি তার কেটেছে কান্নাকাটি করে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আহমেদ জানান, ঐশী আগে ছিল হাজতি। রায় ঘোষণার পর সে কয়েদি। তাকে মহিলা কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে আরও একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মহিলা রয়েছেন। কারাগার সূত্র জানায়, আদালত থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত আনার পর কারও সঙ্গে কথা বলেনি ঐশী। তাকে কনডেম সেলে স্থানান্তরের পর থেকেই কান্নাকাটি করতে থাকে। খাবার দেওয়া হলেও তা মুখে নেয়নি। তবে রাতে সে কিছু খেয়েছিল। সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় ঐশী হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে। সারা রাত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছে। তবে গতকাল থেকে সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। খাবার খেয়েছে আগের মতোই।

পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ বৃহস্পতিবার জনাকীর্ণ আদালতে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এ মামলার আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে বেকসুর খালাস এবং মিজানুর রহমান জনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আÍসমর্পণ করে ঐশী। ঐশী জানায়, সে তার মা-বাবাকে খুন করেছে। তার দুই বন্ধু জনি ও রনি তাকে সাহায্য করেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর