এমপিওভুক্তির দাবিতে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিম্নমাধ্যমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাকুরেরা কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল ২২তম দিনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ২৬-২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও ২৮-২৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপর ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় দিন অনশন পালিত হয়। ১৭তম দিনে মুখে কালো কাপড়, ১৮তম দিনে শূন্য থালা হাতে, ২০তম দিনে অর্ধপ্রজ্বলিত মোমবাতি নিভিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গতকাল অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট বিভাগ জনস্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাজিউল ইসলাম তালুকদার রাজু, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক ফ্রন্টের সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে এমপিওভুক্তির ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী বলেন, ‘আমরা তিন সপ্তাহ ধরে দিনরাত প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাথে পড়ে আছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে আজও মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।’ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা জীবন-মৃত অবস্থায় বেঁচে আছি। এখনি এমপিওভুক্ত করা না হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবনযাপন হুমকির মুখে পড়বে।’
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যক্ষ এনামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।