মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
স্বরাষ্ট্র সচিব বৈঠক আজ

বাংলাদেশ-ভারতের ১৫ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু স্থান পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রথম দিনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্র“পের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সন্ত্রাসবাদ দমন, সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুপ্রবেশ চোরাচালান বন্ধসহ ১৫টিরও বেশি বিষয় আলোচনা হয় এবং চ‚ড়ান্ত বৈঠকের জন্য নির্ধারণ করা হয়। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে আজ একই স্থানে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র  সচিব পর্যায়ে চ‚ড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যাতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহর্ষি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আজকের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে। এরপর বিকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে বলে জানা গেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্র“পের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অন্যদিকে ভারতের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম এ গণপতি। আজও দুই দেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। এ বৈঠকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শফিকুর রহমান জানান, বিজিবি-বিএসএফ যেন সীমান্ত থেকে অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ না করে, সীমান্তে যেন উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়- এসব বিষয়সহ প্রায় ১৫টি বিষয় চ‚ড়ান্ত বৈঠকের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, এ বৈঠকে বেশ কিছু ইস্যু আলোচনা হবে। এর মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পাবে। যদিও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, তারপরও চুক্তি অনুযায়ী যেসব নাগরিক ভারতে চলে যেতে চান কিন্তু এখনো যাননি, তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে। এ ছাড়া সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যার বিষয়টি আলোচনা হবে। তিনি বলেন, বৈঠকের আলোচনায় স্থান পাবে মাদক চোরাচালান, সীমান্ত ঘেঁষে যেসব ফেনসিডিল কারখানা রয়েছে সেগুলো বন্ধের বিষয়টি। সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জানান, ভারতে থাকা বাংলাদেশের যেসব অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা রয়েছে তাদের ফেরত আনার বিষয়টি আলোচনা হবে। স্বরাষ্ট্র সচিব আরও জানান, মানব পাচারের বিষয়টি বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার বন্ধে আলোচনা হবে দুই সচিবের মধ্যে। এর বাইরে ভিসা সহজীকরণ নিয়েও আলোচনা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর