বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

টিআইবির নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কথা জানান। এখন প্রচলিত আইন অনুযায়ী এনজিওবিষয়ক ব্যুরো তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘কমিটির বৈঠকে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল, ২০১৫ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিলে একটা বিষয় রেখে দেওয়া হয়েছে, যেটি বর্তমান আইনেও আছে। কেউ রাষ্ট্র, সংসদ, সংবিধান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে অপরাধ বলে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এনজিওদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এত দিন এনজিওর অর্থ খরচের কোনো নিরিখ ছিল না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয় থেকে এখন বলে দেওয়া হয়েছে, বৈদেশিক অনুদানের ২০ শতাংশ তাদের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে, বাকিটা জনকল্যাণে খরচ করতে হবে। আমরা এটা রেখে দিয়েছি। আমরা এনজিওবান্ধব দেশ।’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘টিআইবি সংসদ সম্পর্কে একটা কথা বইলা ফেলল। টিআইবি পার্লামেন্ট সম্পর্কে বলছে। কী কইছে না কইছে...। আমাদের গণতন্ত্র ৫০০ বছরের ইতিহাস। এই পার্লামেন্ট হতে বহু বছর লেগেছে। এর পরও পার্লামেন্ট পারফেকশন হয় নাই। দোষ-ত্র“টি থাকতেই পারে। তাই বলে তুমি জনমনে হেয় প্রতিপন্ন করবা, এই অধিকার তোমাকে তো কেউ দেয়নি। এর জন্য বিরোধী দল আছে। পেইড অপজিশন। গণতন্ত্রের পেইড অপজিশন। অপজিশন হিসেবে তাদের ফ্লাগ দেওয়া হয়েছে। সব করা হয়। আর এর বাইরে আরেকটা অপজিশন আছে, যেমন বিএনপি। তারা বলতে পারে, তাদের সেই অধিকার আছে। কিন্তু তুমি এনজিও...। কাক কেন রে ভাই আজ ময়ূর সেজে। ময়ূর ময়ূরের কাজ করবে, কাক কাকের কাজ করবে।’ তারা (টিআইবি) সংসদকে পুতুলনাচের নাট্যশালা বলছে। এটা কি স্পর্ধা না? অশালীন না? শালীনতাবহিভর্‚ত না? আমাদের সংবিধানেও বলা আছে, শালীনতা-বহিভর্‚ত কিছু বলা যাবে না। এর পরও আমরা বলেছিলাম, ঠিক আছে, বইলা ফাইলাছ বইলা ফালাইছ। তোমাদের তিন দিন সময় দিলাম। মাপ-সাফ চাও। তোমাদের মাথাও থাক... আমাদের ইয়াও থাক। কিন্তু ওহ বাবা, তাদের অহমিকা এমন জায়গায় চলে গেছে, তারা পার্লামেন্টের কাছে মাথা নোয়াবে না। অহন আমি কী করব। তাই আইনে সেই জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র বা সংবিধান সম্পর্কে কেউ যদি এ রকম কিছু বলে, তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এইটা আইনেও আছে, এইটা এখন করলেও কোনো সমস্যা নেই। আমরা পরবর্তী মিটিংয়ে এটা দিয়ে দিব। দিয়ে দিলে এনজিও ব্যুরো কাজগুলো করবে।’ টিআইবির নিবন্ধন বাতিল হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো কিছু করার নাই। সংবিধান তো রক্ষা করতে হবে। আইন অনুযায়ী..., না হইলে তো পার্লামেন্ট রক্ষা করা যাবে না। আজ আমরা আছি, কাল তো নাও থাকতে পারি। এ ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই। তবে পার্লামেন্ট এটা করবে না, এনজিও ব্যুরোই করবে। আমাদের এনজিওবিষয়ক ব্যুরো প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাতিল করবে। আমরা তো বলি নাই তাদের কোমরে দড়ি বাঁইধা নিয়ে আসো।’

সর্বশেষ খবর