শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে কঠিন চীবর দানোৎসব

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসবকে কেন্দ্র করে পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি রাজবন বিহারে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ২৫ উপজেলাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে এসেছেন পুণ্যার্থী। কানায় কানায় ভরে উঠেছে বিহার। গোটা উৎসব পাহাড়ি-বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। গতকাল বেলা ১টায় পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে রাঙামাটি রাজবন বিহারে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসব। বেলা আড়াইটায় বেইন ঘর পরিদর্শন শেষে সূত্রপাঠ করেন মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের শিষ্যমণ্ডলী। বেলা ৩টায় ফিতা কেটে বেইনঘর উদ্বোধন করেন রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। পরে চরকায় সুতাকাটা বেইন বুনন উদ্বোধন করেন রানী ইয়েন ইয়েন রাখাইন। মহামতি গৌতম বুদ্ধের মহাপুণ্যবতী উপাসিকা বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাজবন বিহারে আয়োজিত ৪২তম কঠিন চীবর দানোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় ছাড়াও উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের চীবর দানোৎসবে ১৬৫টি বেইন (পাহাড়িদের কোমর তাঁত) বসানো হয়েছে। রাতব্যাপী চলেছে তুলা থেকে সুতা কেটে রংকরণ, বেইন বুনন।

 ছাড়া উৎসবে ছিল ফানুস উড়ানো, হাজার পাতি প্রজ্বলন ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে এখানে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে উৎসব পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর