রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে কোপাল দুই পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বাবুগঞ্জের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে বৃদ্ধা মায়ের বসতঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই সহোদর পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও থানায় মামলা না হওয়ায় থানা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে থানা পুলিশ অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে জানিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের স্টিল ব্রিজ এলাকার মৃত আইয়ুব আলী সরদারের পাঁচ ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জমির একাংশে ঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে স্ত্রীসহ বসবাস করেন ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন। শুক্রবার সকালে ছুটিতে বাড়ি এসে দুই সহোদর পুলিশের এএসআই নেসার উদ্দিন ও হাবিলদার ফারুক হোসেনসহ অন্যান্যরা বাড়িতে থাকা ছোট ভাইর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে গিয়াসের স্ত্রী লুনা আক্তারকেও কুপিয়ে আহত করে তারা। একপর্যায়ে তারা তাদের বৃদ্ধা মা মনোয়ারা বেগমকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে তার ছোট ছেলে গিয়াসের বসতঘর ভেঙে দেয়। হামলায় গুরুতর আহত গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রী লুনা আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধা মায়ের ওপর নির্যাতনের খবরে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পুলিশ সহোদর পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের বিচার দাবিতে বাবুগঞ্জ স্টিল ব্রিজ এলাকায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করে। চিকিৎসাধীন গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃদ্ধা মাকে কোনো ভরণ-পোষণ না দিয়ে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার দুই ভাই সব সম্পত্তি ভোগ দখলের চেষ্টা করছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই পুলিশ সহোদর পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, হামলা এবং ঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি।

সর্বশেষ খবর