শিরোনাম
সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে

------------------প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুব শিগগিরই দুই দেশের অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। গতকাল নিজ কার‌্যালয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (এসইবিআই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, এসইবিআইর চেয়ারম্যান উপেন্দ্র কুমার সিনহা, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেইন বক্তব্য রাখেন। স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ড. মশিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ব্যবসায়ী নেতাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের পুঁজিবাজারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের নিজেদের স্বার্থেই পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে আরও বেশি যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানাব, বিনিয়োগকারী ও দেশের স্বার্থে নিজেদের কর্মকাণ্ড অধিকতর যতেœর সঙ্গে পরিচালনা করুন। সরকারের সহযোগিতা আপনাদের জন্য অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আমরা বর্তমানে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি স্থিতিশীল পর‌্যায়ে উন্নীত হয়েছি। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অঞ্চল গড়তে উদার মানসিকতা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কের ক্রমোন্নতি ঘটছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুসম্পর্কের এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে সরকার সচেষ্ট থাকবে। দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত কয়েক বছরে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি জানান, বিদ্যুৎ, নৌপথে যোগাযোগ, সড়ক ও রেলপথ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দুই দেশের শেয়ার মার্কেট উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এমওইউ একটি মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এরই মধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ সময় টেকশই উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ বিষয়ে সবসময়ই সজাগ থাকবে এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আরও উন্নত স্তরে নিতে শিগগিরই কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- পুঁজিবাজার সংক্রান্ত নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু করা, ডিজিটালাইজড ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং পুঁজিবাজার সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি’ প্রোগ্রাম চালু করা। অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজারের নিরাপত্তার পাশাপাশি চাঙ্গা করতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর