মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ এখন অনেক নিরাপদ

-------------- প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই কোনো না কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। একমাত্র বাংলাদেশই এখন অনেকটা নিরাপদ আছে। গতকাল জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএস বা জঙ্গিরা যেন আশ্রয় না পায় সে জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করতে না পারলে এই দেশ অভিশাপমুক্ত হতে পারবে না। এ বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে বলে বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হতে পারছে। দেশে আইএস আছে, জঙ্গি আছে- এ ধরনের ঘোষণা দেওয়ার একটা পাঁয়তারা চলছিল। সেটা সফল হয়নি। তিনি বলেন, যে যত ষড়যন্ত্রই করুক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রোধ করতে পারবে না। বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে বাংলাদেশ তখন এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারে না। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৪ ভাগে নামিয়ে আনব। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে ইনশাল্লাহ। আমরা কারও কাছে মাথা নত করে থাকব না। এ জন্য যা করা দরকার করব। শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি নেত্রী আমাদের সরকারকে উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না ঘোষণা দিয়ে তিন মাস গুলশান অফিসে থাকলেন। তিনি অবরোধ ঘোষণা করে এখন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। তার অবরোধ এখনো আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অবরোধের নামে উনি (খালেদা জিয়া) প্রায় ৫০০ জন মানুষ হত্যা করলেন। প্রায় ২ হাজার ৫৮৩টি গাড়ি উনি পুড়িয়েছেন। ১ হাজার ১৩৮টি প্রাইভেট গাড়ি, ১৮টি রেল, ৮টি লঞ্চ পুড়িয়েছেন। এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন বাংলাদেশে।

শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, সারা বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করব। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

সংসদের অষ্টম অধিবেশন সমাপ্ত : দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশন গতকাল শেষ হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে সংসদের সমাপনী ঘোষণা করেন। এর আগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ সংসদে সমাপনী ভাষণ দেন। সংসদে ১২ কার্যদিবসের অধিবেশনে গতকাল পর্যন্ত ১৩টি বিল পাস হয়েছে, ১৭টি বিল উত্থাপিত হয়েছে। আগের অধিবেশনে উত্থাপিত বিলগুলোসহ সংসদের বিবেচনায় ছিল ২৭টি বিল।

এ ছাড়া চলতি অধিবেশনে আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর বাইরে ৭১ বিধিতে পাওয়া ৪২১টি নোটিসের মধ্যে ১৮টি গৃহীত ও ৮টির ওপর আলোচনা হয়। ৭১ (ক) বিধিতে ২ মিনিট করে আলোচিত হয় ১০৫টি নোটিস।  ১৪৭ বিধিতে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়। চলতি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ৪৪টি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ১৭৪৯টি প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রীরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর