নাটক মঞ্চায়ন, ভারতের আদিবাসী শিল্পীদের নৃত্যগীত পরিবেশনা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘১ম আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব ঢাকা-২০১৫’ শেষ হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে সমাপনী আলোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের সমাপনী কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, ভারতীয় হাইকমিশনের সেক্রেটারি সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী।
সমাপনী আয়োজনের উন্মুক্ত পরিবেশনায় অংশ নেন ভারতের ঝাড়খণ্ডের শিব নৃত্যকলা কেন্দ্রের শিল্পীরা। সন্ধ্যা ৬টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ভারতের ওঁরাও নাট্যদল পরিবেশন করে ‘সরাইকেল্লা ছৌ’ নৃত্য। বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের ১৬টি নাট্যদল অংশ নিয়েছে এ উৎসবে। এদিকে রাধারমণ দত্তের শততম তিরোধান দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাধারমন সংগীত উৎসব-২০১৫। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে সন্ধ্যায় শুরু হয় সুরের মূর্ছনার এই আসর। উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রবীণ লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতি। রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতির সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, রাধারমণ গবেষক অধ্যাপক নন্দলাল বসু, শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দিন। ‘রাধারমণ দত্তের অপ্রকাশিত গান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় রাধারমণের গান পরিবেশন করেন শাহনাজ বেলী, অনিমা মুক্তি গোমেজ, বিশ্বজিৎ রায়, সন্দীপন, দিদারুল আলম, নারায়ণ চন্দ্র শীল, বদরুন্নেসা ডালিয়া, সরদার রহমতুল্লাহ, সৃজ্যোতি রায়, খায়রুল, সুপ্রিয়া, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন বাঁশরিয়া, লোকাঙ্গন, মন্দিরা শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।। রাধারমণের জনপ্রিয় গান ‘জলে গিয়াছিলাম সই’ গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন স্পন্দনের শিল্পীরা। কাল শেষ হবে তিন দিনের এই সংগীতাসর।