শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অভিযোগপত্র নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত, ফের তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অভিযোগপত্র নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত, ফের তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত রেলওয়ের সিআরবিতে টেন্ডারবাজির সংঘর্ষে সাজু পালিত ও শিশু আরমানসহ দুজন নিহতের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্রটি আবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগপত্রটি দেখে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত এ আদেশ দেন। এতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে তদন্ত করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবারও তা দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার কাঁকন অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী চন্দন কুমার বিশ্বাস বলেন, এজাহারভুক্ত ২৬ আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি আবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এবার মামলাটি তদন্ত করবে পিবিআই। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, পিবিআই মামলাটির তদন্তকাজ শেষ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। এতে ৩১ ডিসেম্বর মামলার তারিখও নির্ধারণ করেছেন আদালত। এর আগে ২৩ নভেম্বর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাইফুল আলম লিমনকে প্রধান আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক আহমেদ চৌধুরী। এতে অভিযোগপত্রে ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়। লিমনকে বুধবার রাতে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও আট বছরের শিশু আরমান নিহত হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে বাবর ও লিমনসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পরে অজিত বিশ্বাসসহ চারজনকে আসামি করে নিহত সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত ওই মামলাকে আগের মামলার এজাহারের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন। ঘটনার পর পুলিশ বাবর ও লিমন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমান সভাপতি) আলমগীর টিপুসহ ৫৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারের এক বছরের মধ্যেই সব আসামি একে একে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

সর্বশেষ খবর