শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল চলছে জোড়াতালি দিয়ে

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল চলছে জোড়াতালি দিয়ে

নাক-কান-গলা, চক্ষু, অর্থোপেডিক ও ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকলেও জোড়াতালি দিয়ে চলছে সিরাজগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল।

১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে ৩০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছেন ২৫ জন। দীর্ঘদিন যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ রোগ নাক-কান-গলা, চক্ষু, অর্থোপেডিক ও সার্জারি মেডিসিন পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এসব রোগী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ না থাকলেও তার স্থলে অন্য একজন দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালটিতে এক্স-রে, আলট্রাসনো, ব্লাডসহ সব ধরনের পরীক্ষা স্বল্পমূল্যে করতে পারায় রোগীরা স্বস্তি পাচ্ছেন। কার্ডিয়াক ও আইসিসি বিভাগ চালু হওয়ায় হাসপাতালটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে হাসপাতালের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দালালের উৎপাতও কমে গেছে। ১০০ শয্যার পাশে নতুন করে আরও ১৫০ শয্যার হাসপাতাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রফেসররা হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখছেন। হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন আড়াই শ’ রোগী ভর্তি থাকছেন। কর্তৃপক্ষ আরও দাবি করছে, চিকিৎসক পদ পূরণের পাশাপাশি নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হলে জেলা সদরে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও অনেক বেড়ে যাবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদর হাসপাতাল জোড়াতালি দিয়ে চললেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। এসব কমপ্লেক্সে রোগীরা পাচ্ছেন শুধু প্রেসক্রিপশন। এ ছাড়া আর কিছুই মিলছে না। রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, চৌহালী ও বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার তেমন কোনো সরঞ্জামই নেই। ফলে এসব জায়গায় রোগীরা দুঃসহ অবস্থায় রয়েছেন। এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকজন পেটব্যথা, পা ভাঙা থেকে শুরু করে যে কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এলেই এক্স-রে, আলট্রাসনো, রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর