সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিএনসিসি ক্যাডেটের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির নৌ শাখার ক্যাডেট রাশিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডাররা। সে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে অনুষদ ভবনের করিডরে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় তার মাথা ফেটে যায় এবং সে গুরুতর আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন বিএনসিসির নৌ শাখার ক্যাডেট রাশিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে তুষার নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে ভর্তি পরীক্ষায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কুষ্টিয়া জেলার এএসপি মাহবুবুজজামান ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। সেই ঘটনার পর থেকে ভয়ে ওই বিএনসিসি ক্যাডেট ক্যাম্পাসে আসেন না। তবে বিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর আশ্বাসে গতকাল সে ক্লাস-পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসে। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অনুষদ ভবনের করিডরে রাশিদুল ইসলামকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় ছাত্রলীগ ক্যাডার মাহমুদ জুবায়ের, রিয়ন মিয়া, সোহাগ, সাজ্জাদ হোসেন বিপুল বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পালিয়ে যায়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তার অবস্থার অবনতি দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা ছাত্রলীগের কেউ না। এরা সবাই সন্ত্রাসী দলের সদস্য। এদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে ছাত্রলীগ প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। শনাক্ত করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে।

সর্বশেষ খবর