মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে বিএনপি নেতা ও দুই বনদস্যু নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মনির বাহিনীর প্রধান মনির ও তার সহযোগী নুর মোহাম্মদ ওরফে ভোলা নিহত হয়েছেন। এদিকে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কে বন্দর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বিএনপি নেতা রমজান আলী নিহত হয়েছেন। রবিবার রাতে ও গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বাগেরহাট : পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মনির বাহিনীর প্রধান মনির (৩৫) ও তার সহযোগী নুর মোহাম্মদ ওরফে ভোলা (৪০) নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে চাঁদপাই রেঞ্জের উড়–বুনিয়া খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব-৮-এর অপারেশন অফিসার মেজর হাসিবুল হক জানান, নিয়মিত টহল দানকালে উড়–বুনিয়ায় বনদস্যু মনির বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন জানতে পেরে র‌্যাব অভিযান চালায়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময়ের পর বনদস্যুরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই বনদস্যুর মৃতদেহসহ পাঁচটি একনলা বন্দুক, সাতটি ওয়ান শুটারগান, চারটি কাটারাইফেল, একটি দোনলা বন্দুক, একটি পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল, ৪০৬ রাউন্ড গুলি ও ৩৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। জেলেরা নিহত বনদস্যু মনির বাহিনীর প্রধান মনির ও তার সহযোগী ভোলা বলে নিশ্চিত করেছেন। মনিরের বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ও ভোলার ঠিকানা জানা যায়নি। মংলা থানায় মামলা হয়েছে। মেহেরপুর : মুজিবনগর সড়কে বন্দর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বিএনপি নেতা রমজান আলী (৪২) নিহত হয়েছেন। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। রমজান আলী সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত আমীর শেখের ছেলে ও পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, নাশকতা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে রবিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ রমজানকে আটক করে। পরে তিনি তার সহযোগী ও অস্ত্র সম্পর্কে তথ্য দেন। রাত ২টার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়ে বন্দর গ্রামের শ্মশানঘাটের কাছে পৌঁছলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে রমজানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে রমজান গুলিবিদ্ধ হন। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। রমজান আলী ২০১৩ সালে রাজনগর গ্রামে র‌্যাব সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অন্যতম আসামি। তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ সাতটি মামলা রয়েছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, ২ রাউন্ড গুলিসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রমজান আলীর স্ত্রী শরিফা বেগম বলেন, ‘রবিবার বিকালে রাজনৈতিক কারণে আমার স্বামীকে পুলিশ আটক করে। সকালে শুনি রাতে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সাজানো নাটক করে তাকে হত্যা করেছে। আমি রাষ্ট্রের কাছে এ হত্যার বিচার চাই।’ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ অরুণ বলেন, ‘বিএনপিকে দমন ও নির‌্যাতন করার জন্য ক্রসফায়ারের নামে এ হত্যা। আমি এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই।’

সর্বশেষ খবর