মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
আনসার আল ইসলামের চিঠি

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ আটজনকে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিন ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকসহ বিশিষ্ট ৮ ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়ে উড়োচিঠি পাঠিয়েছে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ)। ওই সংগঠনটির প্যাডে এ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। রাজশাহীর স্থানীয় সানশাইনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইউনুস আলীও ওই ৮ জনের তালিকায় রয়েছেন। গতকাল সকালে ডাকযোগে চিঠিটি স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের কার‌্যালয়ে পৌঁছে। একই ধরনের চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পৌঁছেছে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। তবে ওই চিঠিটি আনসার আল ইসলামের নয় বলেও জানান তিনি। চিঠিতে হত্যা করা হবে বলে আরও যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হায়াত ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। চিঠির শিরোনামে লেখা হয় ‘রাজশাহী শহরে আমাদের টার্গেটসমূহ’। চিঠির শুরুতেই লেখা হয়, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বাংলাদেশ শাখার উপশাখা রাজশাহী অঞ্চলে আমাদের কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাজশাহী অঞ্চলে আল্লাহ, রাসূল ও মুসলমানের নিকৃষ্টতম দুশমনদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি। আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় এদের প্রত্যেককে হত্যা করা হবে।’ এরপরে ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়। শেষে ‘মূলকথা’ শিরোনাম করে লেখা হয়, ‘আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীনের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন এবং আল্লাহ নয়, অন্য কারো কাছে নতি স্বীকার করেছেন তারা আমাদের টার্গেট। সাধারণ কোনো মুসলমান আমাদের টার্গেট নয়। সংক্ষিপ্ত তালিকায় অনেকের নাম আসেনি, তাই বলে ইসলামের দুশমনরা ছাড় পাবেন, এমন না।

 আল্লাহর মুজাহিদগণ আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বাধা দানকারী, কটাক্ষকারী সবাইকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।’

পরের প্যারায় লেখা হয়, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। আমরা শুধু আল্লাহরই ইবাদত করি এবং তারই সাহায্য চাই। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহম্মদ এর উপর।’ চিঠির নিচে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) প্রধান হিসেবে মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ ও রাজশাহী অঞ্চলের স্থানীয় প্রধান নির্দেশক হিসেবে রাজশাহী কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক হবিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও চিঠির খামে প্রেরক হিসেবে অধ্যাপক আবু সিদ্দিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাক্ষর ছাড়াই নাম যুক্ত থাকার বিষয়ে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এগুলো ফেক। আমাকে বেকায়দায় ফেলতে কোনো চক্র নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে।’ রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার জানান, তিনি এ ধরনের কোনো চিঠি এখনো পাননি। তবে যারা চিঠি পেয়েছেন তারা যদি প্রশাসনকে অবহিত করেন তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে উৎস বের করা হবে।

সর্বশেষ খবর