নওগাঁয় ফসলের মাঠগুলো এখন সরিষায় সয়লাব। মাঠের পর মাঠ জুড়ে বিরাজ করছে হলুদ ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বন্যায় জেলার রানীনগর, আত্রাই ও মান্দায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবিশস্যের উপযোগী জমিতে চাষিরা আগাম সরিষা চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সরিষা যথাসময়ে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারলে এবং বিক্রয় মূল্য ভালো থাকলে সব ক্ষতি কাটিয়ে তারা লাভের মুখ দেখতে পারবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে বন্যার কারণে আমন ধানের ক্ষতি পোষানোই শুধু নয়, ইরি-বোরো ধান চাষেও কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় দুই জাতের সরিষা চাষ হয়েছে মোট ৩১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আবদুস ছালেক জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। রণসিংগার গ্রামের সরিষা চাষি তারিকুল ইসলাম তারেক জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কোনো দুর্যোগ ও রোগবালাই না থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তার আশা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, এবার সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষক ইরি-বোরো চাষেও এর সুফল পাবেন।