মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় পুলিশের তাণ্ডব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমারখালীর কয়েকটি বাড়িতে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা এসব বাড়ির ল্যাপটপ, টেলিভিশনসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেছে। এমনকি তাদের হাতে রক্ষা পায়নি মাটির চুলা থেকে শুরু করে সিলভারের হাঁড়ি-পাতিলও।

জানা গেছে, গত রবিবার গভীররাতে নিজেদের থানা এলাকার সীমানা পেরিয়ে কুমারখালী থানার পাহাড়পুর গ্রামে অভিযান চালায় কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, চাপড়া ইউপি সদস্য পাহাড়পুর গ্রামের ফিরোজ আহম্মদ কটার সঙ্গে একই এলাকার আহসান মোল্লার সামাজিক দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁধবাজারে কটার অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আহসান মোল্লার লোকজন। পরে কটার সমর্থকরা ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। রাত ১২টার পর কুষ্টিয়া সদর থানার এসআই তারিক ইবনে আজিজ ও এসআই হালিমের নেতৃত্বে ফিরোজ আহম্মদ কটা ও তার ভাই ফরিদ বিশ্বাস সাদ বেপারির বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় বাড়ির সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ির চেয়ার, টেবিল, ল্যাপটপ, টেলিভিশনসহ মূল্যবান সম্পদ গুঁড়িয়ে দেয়। বাড়ির সামনে বসে বিশ্রাম নেওয়ার একটি বাঁশের মাচাও ভেঙে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চুলা, মাটির ও সিলভারের হাঁড়িপাতিলও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বাঁধবাজারে কটা সমর্থক গাফ্ফার শেখের মুদি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই তারেক ইবনে আজিজ ও এসআই হালিম এ অভিযান চালানোর কথা অস্বীকার করেন। তবে কুমারখালী থানার অধীনস্থ বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই গাউসুল বলেন, ‘রাতে সদর থানা পুলিশের একটি টিম পাহাড়পুর গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানে পুলিশ ভাঙচুর করেছিল কিনা- সে ব্যাপারে কিছু জানা নেই।’ সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহবুব উজ জামান বলেন, পুলিশ কর্তৃক ভাঙচুরের বিষয়টি তার জানা নেই। ‘এক থানার পুলিশ অন্য থানায় কীভাবে অভিযান চালিয়েছে’- প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পাহাড়পুরের পাশেই সদর থানার একটি গ্রামের অবস্থান। ওই গ্রামের অপরাধীরা পাহাড়পুরে আশ্রয় নেয়। তাই অনেক সময় এ ধরনের অভিযান চালায় পুলিশ।

সর্বশেষ খবর