রেলওয়ের ‘ওয়াটার হাই লেভেল’ (পানির উচ্চ গোল ট্যাংক) ট্যাংকটি হুমকির মুখে পড়ছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পাহাড়তলী-খুলশী এলাকার ইউএসটিসি ও মাদার তেরেসার পেছনে পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত ‘গোল ট্যাংক’টি রেলের জায়গা দখল করে মাটি খুঁড়ে ঘর নির্মাণের কারণে যে কোনো মুহূর্তেই ধসে পড়ার আশঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ট্যাংক দিয়ে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পানি ব্যবহার করে থাকেন।
কিছু দিন আগে রেল কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও আবারও স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে সরেজমিনে গেলে অভিযোগ করেন অনেকেই। রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা (আইডব্লিউ-ওয়াটার) এ এ রাবী বলেন, ব্রিটিশ আমলে (১৯২৫-২৭) রেলওয়ের পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত ‘গোল ট্যাংকে’র পানি রাখার (রিজার্ভ) ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২ লাখ ৯০ হাজার গ্যালন। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ ট্যাংকে বর্তমানে প্রতিদিন ২ লাখ ২০ হাজার গ্যালন পানি রিজার্ভ রাখা হয়। তবে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হলেও রেল কর্তৃপক্ষ তা উচ্ছেদ করেছে বলে তিনি জানান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ পানির ‘গোল ট্যাংকে’র চারপাশে পাহাড় কেটে ঘর স্থাপন করে মাসে মাসে ভাড়া উত্তোলন করছে একটি চক্র। রেলের একশ্রেণির কর্মচারী ও বাইরের কিছু সুবিধাবাদী এসব কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফয়স লেক থেকে পানি নিয়ে এ ট্যাংকে রাখা হয়।
এ ট্যাংক-ঘেঁষে মাটি খুঁড়ে গড়ে তোলা হয়েছে সেমি পাকা ঘর। এ ঘরগুলো থেকে প্রতি মাসে ভাড়াও উত্তোলন করেন একশ্রেণির লোক। এ ছাড়া ট্যাংকের পাশে আরও মাটি কেটে সমতল করে এখানে শিমের বীজ বপন করা হয়েছে।