শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
সচিব পর্যায়ের বৈঠক

বোল্ডার দেবে ভুটান চেয়েছে বন্দর ব্যবহারের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বোল্ডার পাথর সরবরাহ করবে ভুটান। এ ছাড়া দেশটির অব্যবহৃত জলবিদ্যুতের একটি অংশ বাংলাদেশে রপ্তানির ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে দেশটি। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে ট্রানজিট সুবিধায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছে ভুটান। এ ছাড়া পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এক দেশ আরেক দেশের মানসংক্রান্ত ছাড়পত্র গ্রহণ করতেও সম্মত হয়েছে।

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে এসব ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। সচিব পর্যায়ের বৈঠক সেরেই গতকাল বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের অর্থনীতিবিষয়ক সচিব দাসো ইয়োসি ওয়াংদি। ওই সময় দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বোল্ডার দিতে সম্মত হয়েছে ভুটান। এর আগে দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষ করে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ও ভুটানের অর্থনীতিবিষয়ক সচিব দাসো ইয়োসি ওয়াংদি। সেখানে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জানান, বাংলাদেশ ভুটানের কাছে বিদ্যুৎ চেয়েছে। ভুটান তার বাড়তি বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশ ভুটানের কাছে কী পরিমাণ জলবিদ্যুৎ চেয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব বলেন, আলোচনা চলছে। পরিমাণটা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে যতটা তারা দিতে পারে। দাসো ইয়োসি ওয়াংদি জানান, তারা ট্রানজিট সুবিধায় বাংলাদেশের কাছে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছেন। দুই দিনব্যাপী এ সভায় ট্রানজিট ও জলবিদ্যুৎ ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় আরও কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ভুটানকে ১৮টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে। দেশটি আরও ১৫টি পণ্যে বাংলাদেশের কাছে শুল্ক সুবিধা চেয়েছে। বাংলাদেশ বিষয়টি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য ভুটান এবং ভুটানের মাননিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত পণ্য বাংলাদেশ গ্রহণ করবে বলে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের পর্যটন বিকাশে এক যোগে কাজ করবে বলেও সম্মত হয়েছে। হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে ভিসা আরও সহজীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছি। যৌথভাবে পর্যটন প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভুটান চেম্বার অব কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স বৈঠক করবে।

সর্বশেষ খবর