শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী

৩ ডিসেম্বর গৌরব ও ঐতিহ্যের ৬০ বছর পূর্ণ করেছে বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। এ উপলক্ষে গতকাল থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী হীরকজয়ন্তী উৎসব।

সকাল ৯টায় একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান এবং ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধিতে একাডেমির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। দুপুরে একাডেমির পুকুরপাড়ে একাডেমির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় অংশ নেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে বাংলা একাডেমির সদস্য, ফেলো, কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সৈয়দ শামসুল হক, সৈয়দ হাসান ইমাম, ড. গোলাম মুরশিদ, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ভাষাসংগ্রামী রওশন আরা বাচ্চু, অধ্যাপক এ বি এম হোসেন, ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম, ড. নিয়াজ জামান, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ড. বিপ্লব বালা, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট চিত্রসমালোচক প্রণবরঞ্জন রায়, মোনায়েম সরকার, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মাহবুব তালুকদার, অধ্যাপক শাহীনুর রহমান, সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, কবি আলতাফ হোসেন, কবি মোহাম্মদ সাদিক, শিল্পী ফকির আলমগীর, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত¡ অধিদফতরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন, অধ্যাপক মনসুর মুসা, রামেন্দু মজুমদার, নূহ-উল আলম লেনিন, ভাষাবিজ্ঞানী জামিল চৌধুরী, কবি আবিদ আনোয়ার, শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদ্দিন, ফারুক নওয়াজ, আনজীর লিটন, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, কামরুল হাসান শায়ক, জসীম উদ্দিন প্রমুখ।  এরপর একাডেমির নভেরা প্রদর্শনী কক্ষে ‘বাঙালি মনীষার দীপ্ত প্রতিকৃতি’ শীর্ষক ২৪ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া উৎসব উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা গ্রন্থের মোড়ক উ ম্মোচন করা হয়। শিল্পী লিলি ইসলামের কণ্ঠে ‘শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয়’ গান শীর্ষক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের মূল পর্ব।

বিকাল ৫টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘পুথিস অ্যান্ড ট্য স্যাভান্টস : ইউ.ভি সোয়ামিনাথা আইয়ার (তামিল) অ্যান্ড আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ (বেঙ্গলি)’ শীর্ষক হীরকজয়ন্তী স্মারক বক্তৃতা। স্মারক বক্তৃতা করেন ভারতের চেন্নাইয়ের বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ভি. বি গণেশন। বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি বিশিষ্ট নাট্যজন শাঁওলী মিত্র। অনুষ্ঠানে নজরুল-পৌত্রী অনিন্দিতা কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখা বঙ্গবন্ধুর একটি রচনার সংক্ষিপ্ত ভাষণ পাঠ করেন। সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশ করেন বিশিষ্ট শিল্পী অনিন্দিতা কাজী, শিল্পী রফিকুল আলম এবং শিল্পী অণিমা রায়। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাম্প্রতিক কর্মতৎপরতা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। আজ শেষ হবে এ উৎসব।

বসুন্ধরা সিটিতে ফ্যাশন শো : বিজয় দিবস ও শীত উপলক্ষে মাসব্যাপী পোশাক প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে ফ্যাশন শো’র আয়োজন করেছে দেশের প্রথিতযশা ফ্যাশন হাউস দেশীদশ। গতকাল বসুন্ধরা সিটিতে অনুষ্ঠিত এই ফ্যাশন সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ফ্যাশন হাউসগুলো হলো- বাংলার মেলা, কে-ক্রাফট, অঞ্জনস, বিবিয়ানা, নগরদোলা, নিপুণ, সাদাকালো, দেশাল, রঙ ও সৃষ্টি। 

‘আমরা করবো জয়’ : নৃত্য ও সংগীত প্রতিভার ঝলকানিতে গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চকে আলোকিত করেন দেশের প্রতিবন্ধী শিল্পীরা। নাচে ও গানের সংস্কৃতি অনুরাগীদের মাতিয়ে তোলেন এই শিল্পীরা। ‘আমরা করবো জয়’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে গান, বেহালা, বাঁশি, দোতরা, গিটার, কী-বোর্ডে সুরের ধারা প্রবাহিত করেন ময়মনসিংহের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিল্পী সুনীল কর্মকার শারমিন আক্তার, সমাপ্তি রায়, ওয়াসিম খান, সিরাজউদ্দীন, সুজন, মিন্টু বয়াতি, আবদুর রহমান, সানোয়ার, এস এম টিপু সুলতান, নিউটন, ইফতেখার হোসেন সোহেল। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সুইড বাংলাদেশের শিল্পীরা, মূকাভিনয়ে অংশ নেয় বধির স্কুলের শিল্পীরা।

পঞ্চগড়ে ‘পাখিদের বৈঠক’ : ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে নাট্য সংগঠন ভূমিজ মঞ্চস্থ করবে তাদের ১৭তম প্রযোজনা ‘পাখিদের বৈঠক’। ইরানিয়ান কবি ফরিদ উদ্দিন আত্তারের কাব্য  ‘মান্তিক-উত-তায়ির’ (১১৭৭ খ্রি.) এর  ছায়া অনুসরণে বর্তমান প্রেক্ষাপটকে ঘিরে নাটকটির কাহিনী। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছে সরকার হায়দার। অভিনয় করবেন নাসরীন আকতার, মুস্তাক আহমেদ, রাসেল রঞ্জু, ইব্রাহীম এলিন, আতিক রহমান। আবহ ও কণ্ঠ দেবেন রইসউদ্দিন, আনোয়ার, রাসেল, সরকার হায়দার। ব্যবস্থাপনায় থাকছেন রুবিনা সরকার।

সর্বশেষ খবর