শিরোনাম
শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

করুণ দশায় বাগেরহাট সদর হাসপাতাল, চলছে খুঁড়িয়ে

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

করুণ দশায় বাগেরহাট সদর  হাসপাতাল, চলছে খুঁড়িয়ে

বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এখন নিজেই রোগী। ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ১০০ শয্যার এ হাসপাতাল। এমনকি এ জনবলেই আগামী জানুয়ারিতে একে উন্নীত করা হচ্ছে ২৫০ শয্যায়।

খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রধান এ হাসপাতালটি রোগীদের ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাও দিতে পারছে না। হাসপাতালে ২৪ জন চিকিৎসকের জায়গায় আছেন মাত্র ১১ জন। শুধু ডাক্তার ও নার্স সংকটই নয়, অ্যাম্বুলেন্স, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধেরও রয়েছে সীমাহীন সংকট। ফলে রোগী এলেই অনেককে রেফার করা হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণকুমার মণ্ডল জানান, বাগেরহাট সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও প্রতিদিন গড়ে ভর্তি থাকছেন দেড়শ’ রোগী। বাধ্য হয়ে ৫০ জন রোগীকে মেঝেতে রাখতে হচ্ছে। ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চলা এ হাসপাতালে ২৪ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১১ জন। এর মধ্যে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) একজন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) একজন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (আই) একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থট্রম) একজন, প্যাথলজি একজন, মেডিকেল অফিসার দুজন, ডেন্টাল সার্জন একজন, মেডিকেল অফিসার (ইউনানী) একজন ও ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসারের দুটি পদ শূন্য রয়েছে। নার্সের ৩৬টি পদের মধ্যে অর্ধেকই শূন্য। এ অপ্রতুল জনবল নিয়ে জেলার প্রধান এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা দিতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সিভিল সার্জন আরও বলেন, সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় সরবরাহ না থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। সংকটের কারণে আমরা রোগীদের চাহিদামতো সেবা দিতে পারছি না। তবে সংকট সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এখানে সদ্য যোগদান করে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত ডাক্তার-নার্সদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই আগামী মাসে নতুন ভবনে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় যাত্রা শুরু করবে। আশা করছি, এর আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ ২৫০ শয্যার ডাক্তার ও নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল পদায়ন করবে। তখনই কেবল বাগেরহাটের চিকিৎসাসেবার চিত্র পাল্টে যেতে পারে। রোগীরা তখনই পেতে পারেন উন্নত ও অধুনিক চিকিৎসা।

সর্বশেষ খবর