শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

খোলা আকাশের নিচে সিলেটের সেই দামি গাড়ি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

খোলা আকাশের নিচে সিলেটের সেই দামি গাড়ি

বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ হওয়া বিলাসবহুল পাজেরো দুটি এখন পড়ে আছে কোতোয়ালি থানায়। শুল্ক স্টেশনে বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ব্রিটিশ নাগরিক ভারত থেকে গাড়ি দুটি নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর সকালে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেই গাড়ি নিয়ে হাওয়া হয়ে যান। পরে পুলিশ রাতেই নগরী থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়ি দুটি উদ্ধার করে। থানার সামনে রোদ-বৃষ্টিতে গাড়ি দুটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিটি গাড়ির মূল্য ২ কোটি টাকার ওপরে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। থানায় মামলা হলেও দুই বছরে এর কোনো কূলকিনারা হয়নি। শুল্ক স্টেশনের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে গাড়ি দুটি অনুপ্রবেশের পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। গাড়ি উদ্ধার হলেও এর মালিক ও চালকরা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে জানা যায়, দুটি গাড়িতে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী তিন নাগরিক প্রবেশ করেছিলেন। তারা হলেন কাবুল মিয়া, আসকির আলী ও অন্তর আলী। তাদের বাড়ি সিলেটে। পরে তারা আদালতে আÍসমর্পণ করেন। জামিনে বের হয়ে তারা যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, গাড়ি দুটি যুক্তরাজ্য থেকে আনা হয়েছিল। ইন্টারপোলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের কারনেট কোম্পানির কাছে গাড়ি দুটির তথ্য চাওয়া হলে একটির তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যটির তথ্য পেলে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া এগুলো সরানোর কোনো এখতিয়ার নেই। জানা যায়, সিলেটের অনেক প্রবাসী নিজে ব্যবহারের কথা বলে ও কারনেট সুবিধা নিয়ে দামি গাড়ি নিয়ে আসেন। পরে চুরি হয়ে গেছে বা দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে গেছে অজুহাত দিয়ে আর ফিরিয়ে নেন না। ফলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এ গাড়িগুলো চষে বেড়ায় দেশের ভিতরেই। ওসি মোশারফ জানান, নতুন গাড়ি আনতে গেলে ৩০০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। সেটা ফাঁকি দিতেই এভাবে ইমিগ্রেশন ফাঁকি দিয়ে গাড়ি আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর