এক নারী রোগীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাসপাতালের ব্রাদার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ৭ ডিসেম্বও আদালতে হাজির করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের আইজি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, গুলশানের ডিসি ও এসি এবং গুলশান থানার ওসিকে রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
‘ইউনাইটেড হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন নিপীড়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিকে ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে এক নারী রোগীকে যৌন নিপীড়নের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হাসপাতালের সাইফুল ইসলাম নামে ব্রাদারকে (স্টাফ নার্স) চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাইফুলের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটলে বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। মঙ্গলবার সাইফুলকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত করে। জানা গেছে, ওই নারী রোগী ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় অপারেশন হওয়ায় তিনি অজ্ঞান ছিলেন। এ সুযোগে হাসপাতালের ব্রাদার সাইফুল ইসলাম তাকে যৌন নিপীড়ন করেন।