শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রাম হাসপাতালে হয় না অপারেশন, সংকট বহুমুখী

সাইফুল আলম তুহিন, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম হাসপাতালে হয় না অপারেশন, সংকট বহুমুখী

এনেসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তারের পদ শূন্য, তাই অপারেশনের কাজ হয় না কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে। এ অবস্থা চলছে এক বছর ধরে। এ ছাড়াও জনবলের ঘাটতিতে চিকিত্সাসেবায় চলছে বহুমুখী সংকট।

এমনিতে এ হাসপাতাল কুড়িগ্রামের প্রায় ২০ লাখ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সমগ্র হাসপাতালে মঞ্জুরিকৃত ১৩৮টি পদের মধ্যে ৫৮টিই শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৪২ পদের মধ্যে শূন্য ২৫টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০টির মধ্যে ৪টি, তৃতীয় শ্রেণির ২৮টির মধ্যে ১৬টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ২৮টির মধ্যে ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। সূত্রমতে, জনবল কাঠামোর এমন বেহাল দশার জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান ক্রমাগত নিম্নমুখী হতে চলেছে।

হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ২০০ করে রোগী ভর্তি হতে আসেন। এ ছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১০০০ রোগী আসেন চিকিত্সা, ওষুধ ও পরামর্শ নিতে। অথচ রোগীরা এর তেমন কিছুই পান না। লোকবলের অভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হার মানে। সূত্র জানায়, এর ওপর রয়েছে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা।

হাসপাতালটিতে ডুয়েল বৈদ্যুতিক ফেসের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার পত্র প্রেরণ করা হলেও তার সমাধান হচ্ছে না। ফলে লোডশেডিংয়ের সময় গোটা হাসপাতাল থাকে অন্ধকারে। পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও নেই। ফলে পয়ঃনিষ্কাশনসহ আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী ও তার স্বজনদের।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার নজরুল ইসলাম বিদ্যমান সমস্যাগুলোর কথা স্বীকার করে বলেন, নানাবিধ সীমাবদ্ধতার ভিতরেও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান   ভালো রাখার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালের জন্য অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে আশা করা যায় বিদ্যমান সমস্যর অনেকটাই দূর হবে।

সর্বশেষ খবর