এখন অগ্রহায়ণ মাস। শীত পুরোপুরি জেঁকে না বসলেও প্রকৃতিতে শীতের আমেজ স্পষ্ট। কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল দেশবাসীকে জানান দিচ্ছে আসি আসি করে শীত এসেই পড়েছে। আর বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি পাকাপাকিভাবে শীত নামিয়ে দেওয়ার আয়োজন শেষ করেছে। কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে ভালোভাবেই শীত অনুভূত হচ্ছে। সূর্যের তেজও এখন বেশ কম। তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় অনেকে শীতবস্ত্র পরতে শুরু করেছেন। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টি শীতেরই পূর্বাভাস। শীতকে স্বাগত জানাতেই বৃষ্টির এ ঝরে পড়া। আর চলতি মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে ইঙ্গিত করেছে। আবহাওয়া অধিদফতরে যোগাযোগ করে জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, তামিলনাড়ু-শ্রীলঙ্কা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ কারণে বৃহস্পতিবারের মতো গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ মেঘলা আকাশের দেখা পাওয়া যায়। আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সানাউল হক বলেন, আরও দু-এক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সামান্য বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনে দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি ও ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারা দেশে একটানা দু-তিন দিন ঘন অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে।