মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
তরল কোকেন আমদানি

অভিযোগপত্রে প্রধান আসামির নাম নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সানফ্লাওয়ার তেলের সঙ্গে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায়  দেওয়া অভিযোগপত্রে প্রধান আসামির নাম না থাকায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি র্যাবকে দিয়ে অধিকতর তদন্ত করার জন্যও আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম রহমত আলী এ আদেশ দেন।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, কোকেন মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদের নাম না থাকায় ডিবির দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেননি আদালত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন র্যাব কর্মকর্তা দিয়ে অধিকতর তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। এতে আটক ছয়জন ও তদন্তে ওঠে আসা দুই ব্রিটিশ নাগরিক ফজলু মিয়া ও বকুল মিয়াসহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলায় খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকের নাম থাকলেও তদন্তে তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ১০ পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্রে তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, নগর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে গত ৬ জুন রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার সিলগালা করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।  ৮ জুন কনটেইনারটি খোলা হলে এতে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সানফ্লাওয়ার তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে পরীক্ষার জন্য তা ঢাকায় পাঠানো হয়। ২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর জানায়, কেমিক্যাল পরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ফের আদালতের নির্দেশে পুনঃপরীক্ষা করে গত ৭ সেপ্টেম্বর ৫৯ নম্বর ড্রামেও কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। চালানটি নগরীর খাতুনগঞ্জের খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে বন্দরে আনা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর