মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অপহরণের তিন দিন পর ‘হত্যা’, লাশ দাফন নানী পরিচয়ে

আদালত প্রতিবেদক

অপহরণের তিন দিন পর ‘হত্যা’, লাশ দাফন নানী পরিচয়ে

জাপানি নারী হিরোই মিয়েতা হত্যা মামলায় জাকির হোসেন পাটোয়ারী ওরফে রতনকে চার দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

রিমান্ড শুনানিতে আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক উজির আলী বলেন, আসামি রতন ভারতে চলে গিয়েছিলেন। পরে রবিবার তাকে বেনাপোল  সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। এর আগে ২৬ আগস্ট অন্য সহযোগীদের নিয়ে জাকির জাপানি নারীকে অপহরণ করেন। পরে জাকির তার ব্যবসায়িক সহযোগীর ছেলে ফখরুল ইসলামের সহযোগিতায় ওই নারীকে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যান। এর তিন দিন পর ২৯ আগস্ট কৌশলে জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। হত্যার পর এই আসামি নিজের গাড়িতে করে লাশ উত্তরা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে মারুফ হোসেনের গ্যারেজে কাফনের কাপড় পরান। পরে তিনি ওই জাপানি নারীকে নানি পরিচয় দিয়ে লাশ দাফন করেন। তাই হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য রতনকে রিমান্ডে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। এ সময় আসামির আইনজীবী মীর হোসেন বলেন, জাকির পাটোয়ারী ওই জাপানি নারীর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। অসুস্থ হয়ে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি (মিয়েতা) মারা যান। তাকে হত্যা করা হয়নি। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, হিরোই মিয়েতার পাসপোর্ট নম্বর-ঞত-০৪৪৫৭৭৮, জন্ম তারিখ ১৬ নভেম্বর, ১৯৫৫। জাপান থেকে ৪ নভেম্বর মিয়েতার মা মাকিকো হিরাবায়াশি জাপান দূতাবাসে জানান, তার সঙ্গে মেয়ে মিয়েতা প্রতিদিন অন্তত একবার কথা বলতেন। কিন্তু ২৬ অক্টোবরের পর থেকে তার মেয়ের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এ কারণে মেয়ের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানান ওই জাপানি মা। এরপর জাপান দূতাবাসের ভাইস কনস্যুলেটর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ মিয়েতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তদন্ত করে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যা মামলা করে।

সর্বশেষ খবর