মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাল্টার চাষ

রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাল্টার চাষ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাল্টার চাষ হচ্ছে। সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতাড়া (জামতলা) এলাকায় মতিউর রহমান মাল্টার চাষ করেছেন। তার বাগানে এখন গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।  দুই বছর বয়সী প্রতিটি গাছে ১৫ থেকে ৪০টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। গাঢ় সবুজ রংয়ের মাল্টাগুলোর কোনো কোনোটিতে হলুদভাবও এসে গেছে। মতিউর রহমান জানান, ৮ বছর আগে তিনি অন্যের ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে আম, পেয়ারা, লেবু, বেদানা ও থাই কুলের চাষ শুরু করেন। কিছুদিন পর তিনি স্থানীয় একটি জাতের মাল্টার বেশ কিছু চারা রোপণ করেন। দেড় বছরের মাথায় গাছগুলোতে ফল ধরে। কিন্তু ফলগুলো ছিল স্বাদহীন-পানসে। তখন তিনি মাল্টা চাষের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে অন্য ফলের আবাদ চালাতে থাকেন। এ অবস্থায় বছর দুয়েক আগে স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা তাকে বারি মাল্টা-১ এর কিছু চারা নিয়ে পরীক্ষামূলক রোপণ করার প্রস্তাব দেন। তিনি তাতে সাড়া দিয়ে ২ বিঘা জমিতে ২০০ চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন। দেড় বছর পর, অর্থাত্ প্রায় ৩ মাস আগে বাগানের তিন চতুর্থাংশ গাছে ধরে কাঙ্ক্ষিত ফল মাল্টা। এরপর তিনি মাল্টা চাষে আশায় বুক বাধেন। সেই মাল্টাই এখন গাছে গাছে ঝুলছে। মতিউর রহমান আরও জানান, ফলগুলো সবুজ হলেও ভীষণ রসাল ও স্বাদে মিষ্টি। বাগানটি কৃষি বিভাগের ২য় শস্য বহুমুখী প্রকল্পের (এসসিডিপি) আওতায় রয়েছে। আর প্রথমবার সুস্বাদু ফল ধরায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও খুশি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাগানের মাল্টা তোলা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এসসিডিপির সাবেক প্রকল্প পরিচালক এবং বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান মাল্টার বাগান পরিদর্শন করেছেন। কৃষি বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা এবারের উত্পাদিত সব মাল্টাই কিনে নিতে চেয়েছেন। এসডিপি প্রকল্পের উদ্যান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় মাল্টা চাষের সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য এই বাগানের মাল্টার নমুনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক সাইফুর রহমান জানান, সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মতিউর রহমানের মাল্টার বাগান দেখে অনেকেই বারি মাল্টা-১ চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং চারা সংগ্রহের জন্য হর্টিকালচার সেন্টারে আসছেন।

সর্বশেষ খবর