বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

গুলিবিদ্ধ দুই ‘সন্ত্রাসী’ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার

পরিবারের দাবি হত্যাকারী পুলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালা থেকে জাহেদুল আলম সিফাত (২৮) ও শহীদুল আলম আরাফাত (২০) নামে দুই শীর্ষ সহোদর সন্ত্রাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। তারা শহরের পাহাড়তলী এলাকার মোহাম্মদ আলেমের ছেলে। নিহত সিফাতের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, ডাকাতি, নারী নির‌্যাতনসহ ২২টি ও আরাফাতের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, সিফাত এবং আরাফাতের পৃথক দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে শহরের পাহাড়তলী, সাত্তারঘোনা, লারপাড়া, সিটি কলেজ এলাকা, বৈদ্যরঘোনা, ঘোনারপাড়া, লাইট হাউজপাড়া, খাজা মঞ্জিল, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও মোহাজেরপাড় কেন্দ্রিক শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধ কর্ম থেকে অর্জিত টাকায় তারা এখন কোটিপতি। তাদের সহযোগী হিসেবে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে রফিক ও দিলু বাহিনী। তারাও শহরের আরেক মূর্তিমান আতঙ্ক। দিলু বাহিনীর সদস্য  মোহাজেরপাড়ার জসিম, ঘোনারপাড়ার মামুন, পাহাড়তলীর শফিক, সমিতিবাজারের রানা ও রুমালিয়াছড়ার এনামের হাতে রয়েছে একাধিক অবৈধ অস্ত্র। দিনের বেলায় এসব সন্ত্রাসী শহরের প্রধান ও বাইপাস সড়কে ঘুরে বেড়ায়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, সিফাত-আরাফাতসহ এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে শহরবাসী জিম্মি হয়ে পড়ে। দুই বাহিনীর শতাধিক সন্ত্রাসী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে অপহরণ করে পাহাড়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, মানুষের ঘরবাড়িতে গিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, জমি দখল করে হাতিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা। কিছু পুলিশ সদস্যের সঙ্গে গোপন সখ্য থাকায় দীর্ঘদিন তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এদিকে নিহত জাহেদুল আলম সিফাত ও শহীদুল আলম আরাফাতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশই পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করেছে। এ দাবি অস্বীকার করে পুলিশ সুপার  শ্যামল কুমার নাথ জানান, দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে সহোদর সিফাত ও আরাফাত মারা যায়। তবে অপর বাহিনীটি কে বা কারা তা এখনো জানা যায়নি। এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে তাদের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর