শিরোনাম
রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পাহাড়ে অতিথি পাখির ঝাঁক

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে অতিথি পাখির ঝাঁক

সবুজ পাহাড়ের হাতছানিতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে, রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকায় অতিথি পাখির সংখ্যাও তত বাড়ছে। শীতের মৌসুমি পাখি আর দেশীয় শালিক-টিয়া ও বাদুড়ের জন্য রাঙামাটি ডিসি বাংলোর শত বছরের পুরনো বৃক্ষগুলো অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত। রাঙামাটি শহর এলাকায় শুধু ডিসি বাংলো এলাকায় অতিথি পাখির দেখা মেলে। বাংলোর পেছনে হ্রদের ওপর গাছগুলোতে অতিথি পাখির কলতানে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি একাকার হয়ে মিশে গেছে। ভোর হলেই খাবারের খোঁজে হ্রদে দল বেঁধে নামে অসংখ্য অতিথি পাখি। সন্ধ্যা নামলে বন ও বাঁশ ঝোপঝাড়গুলোয় পাখির কলতান আর কিচিরমিচির ধ্বনি অদ্ভুত এক আবহ সৃষ্টি করে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন বলেন, পাহাড়, বন আর স্বচ্ছ জলধারা অতিথি পাখিকে বেশি আকর্ষণ করে। শীত মৌসুমে রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকায় অতিথি পাখির সমাহার দেখা যায়। মূলত অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বরের প্রথম দিকেই এসব পাথি আসে। আবার মার্চের শেষ দিকে তারা ফিরে যায়। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, শুধু রাঙামাটি পার্বত্য জেলা নয়, অতিথি পাখির দেখা মিলছে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেও। প্রতিদিন শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে আসছে অগণিত অতিথি পাখি। রাঙামাটির সুবলং, লংগদু, কাট্টলী, মাইনিমুখ, সাজেক, বাঘাইছড়ি, হরিণা, বিলাইছড়ি, বরকল; খাগড়াছড়ির তাইন্দং, মাটিরাঙা, মহালছড়ি, পানছড়ি, দীঘিনালার বগা লেক, চেঙ্গী আর বান্দরবানের সাঙ্গু নদ ও পাহাড়ের বিলে দেখা মেলে অতিথি পাখির। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব পাখির কলরবে কানায় কানায় ভরে যায় নদের তীর ও জলে ভাসা চরগুলো। তা ছাড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত অতিথি পাখি বেশি দেখা যায়। এ বছরও শীতের শুরুতেই পাহাড়ি অঞ্চলে অতিথি পাখি এসেছে চোখে পড়ার মতো। ডুবোচর ও নদের পাড়ে যেসব পাখি বেশি দেখা যায় এর মধ্যে রয়েছে— পাতিহাঁস, ডাহুক, কালাম, বক, ছোট সরালি, বড় সরালি, টিকিহাঁস, মাথা মোটা টিটি, চোখাচোখি, গাংচিল, গাংকবুতর, চ্যাগা, জলমোরগ, বইধরসহ নাম না জানা অনেক পাখি। অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত পাহাড়ি অঞ্চল। প্রাণিবিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর উত্তরের শীতপ্রধান সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল ও ভারত থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি বাংলাদেশে আসে। পাখি নিধন বন্ধ না হলে আমাদের দেশে অতিথি পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকৃতির সৌন্দর্যও একদিন হারিয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর