রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির নিচে রাখতে সম্মতি

প্যারিস চুক্তি অনুমোদন

নিজামুল হক বিপুল প্যারিস থেকে

তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির নিচে রাখতে সম্মতি

শেষ পর্যন্ত প্যারিস সম্মেলনে একটি আইনি বাধ্যবাধকতা চুক্তি হলো। বাংলাদেশ সময় গতকাল মধ্য রাতে এ চুক্তি অনুমোদন হয়। ২০৫০ সালের মধ্যেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির নিচে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মতি দিয়ে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন চুক্তিতে মতৈক্য হয়েছে। এর আগে গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে এ চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ হয়। এদিকে ১০ ডিসেম্বর বিকাল থেকেই প্যারিসের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্র লা বুর্জে ফাঁকা হতে শুরু করে। গতকাল ভেন্যু ছিল প্রায় একেবারেই ফাঁকা। অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই চলে গেছেন নিজ নিজ দেশে। শুধু ছিলেন সমঝোতাকারী সরকারি প্রতিনিধিরা। সম্মেলনের মেয়াদ একদিন বৃদ্ধির পর গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ২টায় প্যারিস চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করা হয়। রাতেই এ খসড়া নিয়ে দরকষাকষি শেষে চুক্তির  বিষয়ে সবকটি দেশের মতামত দেওয়ার কথা। তবে যে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে সেটিতে আশান্বিত হওয়ার মতো খুব বেশি খবর নেই এলডিসি, সিডস, আফ্রিকান দেশ এবং স্বল্পোন্নত ও চরম জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর জন্য। চুক্তির খসড়ায় বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তির আলোকে সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণকারী ৫৫টি দেশ এই চুক্তি রেটিফাই করার পর এটি কার্যকর হবে। জলবায়ু তহবিলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ১০০ বিলিয়ন ডলার ২০২০ সালের পরিবর্তে ২০২৫ সালের মধ্যে দেওয়া হবে। তবে এই তহবিলের অর্থ কোথা থেকে কীভাবে আসবে, কারা দেবে- এসব বিষয় পরিষ্কার করা হয়নি। এ চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ দলের সমন্বয়কারী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এটি এক ধরনের একটি আইনি বাধ্যবাধকতা। চুক্তি হলেও এটাকে কোনোভাবেই প্রটোকল বলা যাবে না। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী ৫৫টির বেশি দেশকে দুই বছরের মধ্যে এটি রেটিফাই করতে হবে। তখনই এটি কার্যকর হবে। খলীকুজ্জমান বলেন, এ চুক্তি খুব একটা শক্তিশালী চুক্তি নয়। তারপরও একটি চুক্তি হয়েছে সেটিই আশার কথা। ডিসপ্লেসমেন্ট মাইগ্রেশনের বিষয়ে এ চুক্তিতে কিছু নেই উল্লেখ করে খলীকুজ্জমান জানান, এ বিষয়টি চুক্তিতে নেই, তবে খসড়ায় আছে।

 ভবিষ্যতে এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সর্বশেষ খবর