রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। গতকাল নগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক রেজাউস সাদিক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক জানান, বিভিন্ন সময়ে ১৮ জনকে পুলিশ ও র্যাব গ্রেফতার করেছে। তাদের তথ্যানুযায়ী এ হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণে হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত। চার্জশিটে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আবদুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমা। নাসরিন আকতার রেশমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, অধ্যাপক লিলনের সঙ্গে বিরোধ ছিল আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের। এতে শিক্ষকের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন উজ্জ্বল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী সেকশন অফিসার নাসরিন আকতার রেশমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিলেন শিক্ষক লিলন। এতে রেশমার স্বামী পিন্টু শিক্ষক লিলনকে ‘উচিত’ শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। এই দুটো ঘটনায় উজ্জ্বল ও পিন্টু শিক্ষক লিলনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ তারা পাননি। উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হন অধ্যাপক শফিউল ইসলাম লিলন। পরে বিকাল ৪টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।