শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ইবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ১০

ইবি প্রতিনিধি

শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সহসভাপতি গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে বাবু নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ  ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে বেলা ৩টার দিকে সহসভাপতি গ্রুপের কর্মীরা ভিসির বাসভবনে ভাঙচুর চালান এবং নিয়োগ বোর্ড পণ্ড করে দেন। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, গতকাল পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড ছিল। বেলা ১১টার দিকে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিনসহ তিনজন শিক্ষক ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারের সঙ্গে দেখা করে বোর্ড স্থগিত করার দাবি জানান।  ১২টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম গ্রুপের ১৫-২০ জন কর্মী প্রশাসন ভবনে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলি ছোড়েন। এতে সাজ্জাদুর রহমান বাবু নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা দলীয় টেন্টে এসে অবস্থান নিলে সহসভাপতি গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আলতাফ হোসেন, শামিম হোসেন এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্ট চালান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। তারা হলেন— যুগ্মসম্পাদক শাহিনুর রহমান, সভাপতি গ্রুপের শিশির ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান, কামরুজ্জামান সাগর, নোমান, রাজু আহমেদ প্রমুখ। গুলিবিদ্ধ বাবুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে বেলা ৩টার দিকে সহসভাপতি গ্রুপের কর্মীরা ভিসির বাসভবনে ভাঙচুর চালান এবং নিয়োগ বোর্ড পণ্ড করে দেন। এ বিষয়ে সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা ভিসির সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান।’ সহসভাপতি গ্রুপের জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সভাপতি গ্রুপের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর গুলি চালায়।’ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের ভুল বোঝাবুঝির কারণে কথাকাটাকাটি হয়। তবে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।’ প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’ ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’

সর্বশেষ খবর