শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হই

—লে.কমান্ডার ভি কে রায়জাদা (অব.)

লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হই

মিত্রবাহিনীর এই বীর যোদ্ধা একাত্তরে মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য। এই প্রতিবেদককে  বলেন, “১৯৭১ সালের জুন-জুলাই মাসে আমি দিল্লিতে ছিলাম। সে সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য আমাদের নৌবাহিনীর দলটিকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মনে পড়ে যুদ্ধের এক পর্যায়ে আমাদের লক্ষ্য ছিল পশুর নদ দিয়ে নৌযান চলাচল আটকে দেওয়া। এর ফলে খুলনার মংলা বন্দরে পণ্য পরিবহনে বাধার সৃষ্টির হবে। কেননা এ পথ দিয়েই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নানা রকম পণ্যবোঝাই যান চলাচল করত। সে সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে জাহাজ না থাকায় ‘পলাশ’, ‘পদ্মা’ নামের নৌযানে মাইন ও বন্দুক বহন করে এগুলোকে গানবোটে পরিণত করা হয়। মনে পড়ে সে সময় শরণার্থী শিবির থেকে বয়সে তরুণ অনেক বাঙালিকে মুক্তিবাহিনীতে যোদ্ধা হিসেবে নেওয়া হয়।” রায়জাদা বলেন, ‘কঠিন হলেও আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হই। আমাদের আক্রমণে পাকিস্তানি নৌচালকরা সব পালিয়ে গিয়েছিল। আমাদের শেষ দিকের অপারেশন ছিল ডিসেম্বরের ১১ তারিখে। খুলনায় পাকিস্তানিদের নৌঘাঁটিগুলো দখল করার জন্য অগ্রসর হই। সে সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুলবশত আমাদের দিকে রকেট ছোড়ে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আমাদের নৌবাহিনীর অনেক সহযোদ্ধা নিহত ও মারাত্মকভাবে আহত হন। তবে ভাগ্য সহায় হওয়ায় একটি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে লাইফ জ্যাকেট পাওয়ায় সে যাত্রায় আমি জীবন বাঁচাত সক্ষম হই।’ বর্তমান বাংলাদেশকে কেমন দেখছেন— জানতে চাইলে এই যোদ্ধা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশ সত্যিই খুব ভালো করছে। এখানে একটি আধুনিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া অবকাঠামোর দিক দিয়েও দেশটির অনেক উন্নতি হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর