শিরোনাম
সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
গুলিস্তান টু সদরঘাট

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাথের অবৈধ দোকানসহ সব স্থাপনা গতকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সিটি করপোরেশন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাথের অবৈধ দোকানসহ সব স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আগামী ৩০ দিন টানা এ অভিযান চলবে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নেতৃত্ব এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। তিনি জানান, গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাথের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। এ সময় র?্যাব সদস্যরাও অভিযানে সহায়তা করেন। গোলাপ শাহ মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে সিটি করপোরেশনের বুলডোজার দিয়ে একে একে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ফুটপাথে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো। গুলিস্তান টিএন্ডটি সংলগ্ন (পূর্ব পাশের) ফুটপাথে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট, সুন্দরবন মার্কেটের চারপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ফুলবাড়িয়া বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের ফুটপাথজুড়ে গড়ে ওঠা টং দোকানসহ অন্যান্য অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।  ফুটপাথে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট উচ্ছেদকালে মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে সংস্থার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. খালিদ আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুস শোয়েব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ৩০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছি। এই ৩০ দিনের মধ্যে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট এলাকার ফুটপাথ পথচারীদের চলাচলের জন্য পুরোপুরি ক্লিন করা হবে। তিনি বলেন, আমি সকালে উচ্ছেদ করে যাই, বিকালে আবার বসে যায়। আমি উচ্ছেদ করি, দুই ঘণ্টা পরে বসে যায়। এর সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক নামধারী নেতা, পুলিশের অসাধু কর্মকর্তা সম্পূর্ণভাবে জড়িত। আমি হকারদের বলেছি, এক পয়সাও কেউ চাঁদা দেবে না। রাস্তা দখল করতে দেব না। তিনি বলেন, হকারদের একটি তালিকা করা হচ্ছে, হাতের ছাপ নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। মেয়র বলেন, পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত হকাররা পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে ব্যবসা করতে পারবেন। ফুটপাথ পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাসহ যা যা করার দরকার সব করা হবে বলে জানান মেয়র। তবে দোকান মালিকরা অভিযোগ করেন, তাদের পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে অতর্কিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর