সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
বিবিএসের প্রতিবেদন

গড় আয়ু ৭০ বছর ছাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭০ বছর ছাড়িয়েছে। ২০১৪ সালের হিসাবে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৭ বছর। এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু ৬৯ দশমিক ১ বছর। আর নারীদের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ৬ বছর।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৪ বছর। ২০১০ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৭ দশমিক ৭ বছর। সে হিসাবে এক বছরে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে তিন মাস। আর গত পাঁচ বছরে এই আয়ু বেড়েছে ৩ বছর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মনিটরিং দ্য ভাইটাল সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বিবিএস মহাপরিচালক আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আযম। বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা, ইউনিসেফের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরাধা নারায়ণ। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন তুলে ধরে এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক জানান, সারা দেশে ১ হাজার ৫০০ নমুনা এলাকা থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে জন্ম, মৃত্যু, গড় আয়ু, বিবাহ, তালাক, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুতের সুবিধা, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ মোট ১২টি বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গড় আয়ু বৃদ্ধি ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি সূচকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুষের গড় আয়ু ২০১৪ সালে ৬৯ দশমিক ১ বছরে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালে পুরুষের গড় আয়ু ছিল ৬৮ দশমিক ৮ বছর। আর ২০১০ সালে পুরুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৬ বছর। সর্বশেষ হিসাবে মহিলাদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বছরে উন্নীত হয়েছে। ২০১৩ সালে মহিলাদের গড় আয়ু ছিল ৭১ দশমিক ২ বছর। ২০১০ সালে এর গড় ছিল ৬৮ দশমিক ৮ বছর। ২০১৪ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা বেড়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৬ লাখ। আর নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮২ লাখে। ২০১৩ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৪৭ লাখ। এ সময়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। ২০১৩ সালে স্থূল জন্মহার ১৯ শতাংশে থাকলেও গত বছর তা ১৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের শিক্ষার হার ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ। আর নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বর্তমানে আলোর উৎস হিসেবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ। ২০১৩ সালে এ হার ছিল ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ। কেরোসিন ব্যবহারকারী কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যান্য উৎস থেকে আলো ব্যবহার করছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ। ২০১৪ সালে স্যানিটারি ব্যবহারকারীর সংখ্যা  বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এখনো খোলা স্থানে মল ত্যাগ করে ২ দশমিক ১ শতাংশ লোক, যা ২০১৩ সালে ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যান্য উৎস ব্যবহার করে মল ত্যাগ করে ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ লোক, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর