বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শ্বশুর জামাই ও পুতরার লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

শ্বশুর জামাই ও পুতরার লড়াই

চট্টগ্রামের একটি পৌরসভায় শ্বশুর-জামাই-পুতরার ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে। তিনজনই ওয়ার্ডের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট ও দোয়া কামনা করছেন। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্বশুর-জামাই-পুতরাসহ পাঁচজন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শফিউল আজমসহ একাধিক ভোটার বলেন, তিন আত্মীয়ের মধ্যে কাকে ভোট দেব এখনো বুঝতে পারছি না। তবে  তারা জমজমাট প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, কে আত্মীয় কে আত্মীয় নন, সে বিষয়টা ভোটাররা যোগ্যতা বিবেচনা করেই ভোট প্রদান করবেন। নয়ন চৌধুরী বলেন, তরুণ ইমেজ নিয়ে কাজ করতে চাই। নির্বাচিত হলে প্রবীণ-নবীনদের নিয়ে কাজ করব। আশা করি ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট প্রদান করবেন। চন্দনাইশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে উটপাখি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ডালিম প্রতীক নিয়ে নয়ন চৌধুরী আর পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে বাচা মিয়া। তারা তিন আত্মীয় প্রার্থীই একে অন্যের যোগ্যতা ও ব্যক্তি ইমেজকে তুলে ধরছেন ভোটারদের মাঝে।

দুই ভাইয়ের লড়াই : আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে দুই ভাই লড়ছেন। প্রায় ২০ বছর ধরে দুই ভাই নির্বাচনে একে অন্যের সঙ্গে লড়াই করে আসছেন। কখনো এক ভাই তো কখনো আরেক ভাই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। দুই ভাই হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মানিক মিয়া ও পৌর বিএনপির সভাপতি মো. বাহার মিয়া। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। জানা গেছে, একই বাড়ির দুজন নির্বাচনে মুখোমুখি হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের এক প্রকার বিপাকেই পড়তে হয়। বাহার মিয়া দুবার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও একবার পৌর কাউন্সিলর হয়েছেন। মানিক মিয়া একবার পৌর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয় পেতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভাই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। মানিক মিয়া বলেন, কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় রাস্তাঘাট, ড্রেনসহ নানামুখী উন্নয়ন করেছি। ভোটাররা আমাকে এবারও মূল্যায়ন করবেন।

বাহার মিয়া বলেন, কাউন্সিলর থাকাকালে সাধ্যানুযায়ী এলাকায় কাজ করেছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর