বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ছয় মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত আসামি জেএমবি সদস্যরা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে মাজারের শিষ্য, খাদেম ও ছিনতাইকালে ট্রিপল মার্ডারসহ চাঞ্চল্যকর ছয় মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে পুলিশ। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক কমান্ডারসহ আটজনকে আসামি করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে কয়েকদিনের মধ্যেই  আদালতে পাঠানো হবে জেএমবি সংশ্লিষ্ট ঘটনার ওই মামলাগুলোর চার্জশিট।

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) বাবুল আকতার বলেন, ‘জেএমবি’র সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত ডাবল ও ট্রিপলসহ কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ হয়েছে। কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষে চার্জশিট আদালতে পাঠানো হবে।’ মহানগর গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, জেএমবি সংশ্লিষ্ট ছয়টি মামলার তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটিতে তিনজন ও বাকিগুলোতে আটজনকে আসামি করা হচ্ছে। মামলাগুলোর মধ্যে বায়েজীদের ডাবল মার্ডারে অংশগ্রহণকারী বাবু ওরফে সুজন এবং পরিকল্পনাকারী ফারদিন ও ফুয়াদকে আসামি করা হচ্ছে। আর সদরঘাটের ট্রিপল মার্ডারের দুই মামলায় সুজন ওরফে বাবু, বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ ওরফে আপেল, হাবিব, ফারদিন, মাহবুবুর রহমান ওরফে খোকন, শাহজাহান ওরফে কাজল, পিয়াস এবং কালাইয়া ওরফে মোটাইয়াকে আসামি করা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী থানার তিনটি মামলার প্রতিটিতে আসামি করা হচ্ছে সুজন ওরফে বাবু, বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ ওরফে আপেল, হাবিব, ফারদিন, মাহবুবুর রহমান ওরফে খোকন, শাহজাহান ওরফে কাজল, পিয়াস এবং কালাইয়া ওরফে মোটাইয়াকে।  অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আকতার বলেন, ‘ডাবল ও ট্রিপল মার্ডার এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেএমবি জড়িত। তাই মামলাগুলোতে জেএমবি সদস্যদের আসামি করা হচ্ছে। তবে সহযোগীদের ছোড়া বোমায় নিহত সামরিক কমান্ডার তৌফিকুল ইসলাম রানা ওরফে জাবেদ এবং ছিনতাইকালে নিজেদের বোমায় নিহত রফিক ও জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ায় তাদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, জেএমবির জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনার তহবিল সংগ্রহের জন্য তারা ছিনতাই ও ডাকাতিতে নেমেছে। সংগঠন পরিচালনার তহবিল সংগ্রহের জন্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর সদরঘাট থানাধীন শাহ করপোরেশনের সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করে জেএমবি। ছিনতাইকালে তারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। গ্রেনেডের আঘাতে  জেএমবির সদস্য জাহাঙ্গীর ও রফিক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আর শাহ করপোরেশনের ম্যানেজার সত্য গোপাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৪ সেপ্টেম্বর আদর্শিক বিরোধের জের ধরে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজারে ল্যাংটা ফকির ও তার খাদেমকে খুন করে জেএমবি। ৫ অক্টোবর কর্ণফুলী থানা এলাকায় অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জেএমবি সদস্যরা। তবে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় পুলিশের কয়েক সদস্য।

সর্বশেষ খবর