সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে

সবুর খান

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সবুর খান বলেছেন, ২০১৫ সালে ছিল আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির বছর। ঢাকার অবকাঠামো আমাদের বিনিয়োগ চিত্র পাল্টে দেবে। রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আমাদের গত কয়েক দশকে সম্ভব হয়নি। এই একটি মাত্র কারণেই কয়েকগুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিদেশিরা বাংলাদেশে এলে যানজটের কারণে আঁতকে ওঠে। তারা সময় নষ্ট করতে চায় না। এতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু বর্তমানে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ঢাকার দুই সিটির মেয়ররাও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন যানজট নিয়ন্ত্রণের। এ সমস্যার সমাধান করতে পারলে বিনিয়োগ তড়তড় করে বাড়বে। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে। ২০১৬ সালে বিনিয়োগ সম্ভাবনার বছর। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, চলতি বছরটাও কিন্তু মোটামুটি ভালো গেল। কেননা রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে। ফলে বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। গ্যাসের সমস্যাও কেটে যাচ্ছে। এখন আর গ্যাস-বিদ্যুতের জন্য কারখানা বন্ধ রাখতে হয় না। অল্প দিনের মধ্যেই সরকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় উন্নতি করতে পেরেছে। নতুন বছরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে বিনিয়োগ বাড়বেই। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। ঋণের সুদ হারও কমতে শুরু করেছে। এতে করে বলা যায় বড় বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে একক অঙ্কেই সুদ দিয়ে ঋণ পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হবে। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ী-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি ফিরবে। ইতিমধ্যে অনেক ব্যাংকই তাদের ঋণের সুদ হার কমিয়েছে। সবুর খান আরও বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি সরকারকে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। সেই সঙ্গে মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো যোগাযোগ খাতের প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে পারলে দেশি-বিদেশি উভয় প্রকার বিনিয়োগই আসবে। সবশেষে তিনি বলেন, নতুন বছর হোক বিনিয়োগের বছর। নতুন বছর হোক উন্নয়নের বছর। আগামী বছর হোক যানজট নিয়ন্ত্রণের বছর। আর নতুন বছর হোক স্থিতিশীল রাজনীতির বছর।

সর্বশেষ খবর