মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কড়া নিরাপত্তার চাদরে থাকবে রাজধানী

থার্টিফার্স্ট উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে রাজধানীকে। ইংরেজি নববর্ষের রাত থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নেওয়া হচ্ছে এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মূলত আগামীকাল থেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার কাজ শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারি বাড়াতে সরকারের সবকটি গোয়েন্দা সংস্থা আগের চেয়ে তত্পরতা বাড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য দিয়ে বলেছে, পর পর তিনটি মসজিদে হামলার পর সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা ও গাজীপুরে জঙ্গিদের আস্তানার সন্ধানের পর গোয়েন্দারা আরও তত্পরতা বাড়িয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ এবং সাড়ে পাঁচ হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে পুরো রাজধানীকে। তিনি সবাইকে বাসায় থেকে নববর্ষ উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, ইনডোরে উপভোগ করতে কোনো বাধা নেই। মাদকের বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর রাজধানীতে কোনো বার খোলা থাকবে না। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসবে চেকপোস্ট, চলবে টহল। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাজশাহীতে আহমদিয়া মসজিদে ‘আত্মঘাতী হামলা’র পর নতুন করে বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। এতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে। তা ছড়িয়ে পড়তে পারে সারা দেশে। এ ছাড়া ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিমাদের ওপর আরও হামলা হতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের চলাফেরায় নতুন করে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এতে তাদের চোখমুখ খোলা রেখে চলতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, চলাফেরার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। আগেভাগেই যথাযথ নিরাপত্তা নিতে হবে। যুক্তরাজ্যের এমন বার্তার পর বাংলাদেশ পুলিশও বসে নেই। থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে দুই দিন আগে থেকেই আগাম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ডিএমপি সূত্র জানায়, আগামীকাল বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নজরদারি শুরু হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অলিগলিসহ প্রধান প্রধান সড়কের মোড়, ফ্লাইওভার কিংবা সড়কে সব ধরনের জমায়েত বা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডিএমপি। ডিএমপি সূত্র জানায়, কূটনৈতিক পাড়াসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বেশ কিছু এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর