মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার রায় ৩১ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৩১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদ আসামি ও বাদীপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গত ৫ নভেম্বর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে পাঠানো হয় দ্রুত বিচার  ট্রাইব্যুনালে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন বিচারক। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ। অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য সাত আসামির সবাই নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগের বহিষ্কৃত ছাত্র সাদমান ইয়াছির মাহমুদ, ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ। রেদোয়ানুল আজাদ রানা পলাতক ও বাকি সবাই কারাগারে আছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, জসীমউদ্দিন রাহমানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে দুটি মসজিদে জুমার খুতবায় ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন এমন ব্লগারদের হত্যার ফতোয়া দিতেন। অন্য আসামিরা সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তারা ওই খুতবা শুনতেন। এভাবে তাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি হয়। জসীমউদ্দিনের লেখা বই পড়ে এবং সরাসরি তার বয়ান ও খুতবা শুনে বাকি আসামিরা ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্লগার রাজীব খুন হন। রাহমানীকে ওই হত্যাকাণ্ডে উৎসাহদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর