মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সবার জন্য দরজা খোলা বসন্ধুরা আই হসপিটালের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলে অর্থের অভাবে কোনো রোগীকে চিকিৎসাবিহীন ফেরত যেতে হবে না। হাসপাতালটি সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বসুন্ধরা গ্রুপ ও ভিশন কেয়ারের যৌথ প্রয়াসের এ  হাসপাতালে ধনী-গরিব সব রোগীর চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। এখানে ধনীর টাকায় গরিবের চিকিৎসা করা হয়। কথাগুলো বলছিলেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদ।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে নিচতলায় রয়েছে বহির্বিভাগে রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা। আজীবন রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা। কনসালটেশন ফি প্রতিবার ২০০। চারজন  বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা দেন। এ ছাড়া দোতলায় প্রাইভেট প্রাকটিস করেন ১৫ জন চিকিৎসক। সেখানে যে কেউ ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। তার উপরের তলাগুলোতে রয়েছে অপারেশন থিয়েটার, ২০টি বেড ও কনফারেন্স হল। ডা. সালেহ বলেন, ধনীর টাকা নিয়ে গরিবের চিকিৎসা দিতে দোতলায় প্রাইভেট প্রাকটিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে চিকিৎসকরা তাদের প্রাপ্ত ভিজিটের ৩০/৪০ শতাংশ রেখে বাকিটা হাসপাতাল তহবিলে জমা দেন। এ টাকা দিয়ে যন্ত্রপাতি, গরিব রোগীদের বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। এখানে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, কোনো রোগীর টাকা না থাকলে তাকে ফাউন্ডেশনের জাকাত ফান্ড থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চোখের চিকিৎসায় এটি বাংলাদেশে অন্যতম আধুনিক হাসপাতাল দাবি করে তিনি জানান, এখানে সবচেয়ে কম খরচে চোখের অপারেশন হয়। এটি সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালের ম্যানেজার মোহাম্মদ আহসান হাবিব জানান, হাসপাতালে যেমন দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তেমনি হাসপাতালের বাইরে চক্ষু ক্যাম্পের মাধ্যমে রয়েছে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ঢাকায় তিনটি ও কুমিল্লায় দুটি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৮০টি সানি অপারেশনসহ প্রায় দুই হাজার রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দৈনিক রোগীর সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম দিকে মানুষ জানত না বলে রোগী তেমন ছিল না। এ ছাড়া অভিজাত এলাকার হাসপাতাল মনে করে ভাবত খরচ বেশি। এখন প্রতি দিন রোগী বাড়ছে। বহির্বিভাগে গড়ে দৈনিক ৫০/৬০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর