শিরোনাম
রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেশে কোনো মানুষ গরিব থাকবে না

------------প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেছেন, বাংলাদেশ দরিদ্র থাকবে না, উন্নত হবে, সমৃদ্ধশালী হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এদেশে কোনো মানুষ একেবারে গরিব থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা    দিবস ও সমাজসেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সরকারের ‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’, প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০১৬ ও সমাজসেবা সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে সমাজসেবার প্রচেষ্টা এগিয়ে যাবে দেশটা। সমাজসেবাকে প্রতিটি রাজনীতিকের দায়িত্ব হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যে রাজনীতিটা করি, তার মূল লক্ষ্যটাই সমাজসেবা। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বাধীন দেশে ফিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমার জীবনের একমাত্র কামনা, বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের খাদ্য পায়, আশ্রয় পায়, উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। জাতির পিতার সারা জীবনের রাজনীতির এটাই ছিল লক্ষ্য, বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশেষভাবে বলব, ভিক্ষাবৃত্তি যেন কেউ করতে না পারে। ভিক্ষাবৃত্তিটা যেন কোনো কোনো লোকের পেশায় দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের আবার সর্দার থাকে। যা পায় তারা আবার ভাগবাটোয়ারা করে। যতই পুনর্বাসন করি না কেন, আবার তাদের ফেরত নিয়ে আসে। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষদের সরকারের তরফ থেকে বিনাখরচে পুনর্বাসনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছিন্নমূলদের ঘর-বাড়ি লাগলে বিনা পয়সায় আমরা ঘর-বাড়ি করে দেব। জীবন-জীবিকার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে দেব। কিন্তু তারা ভিক্ষা করতে পারবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কর্মস্থান নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে যেভাবে পারে, কাজ করে খাবে। বাংলাদেশ তখনই উন্নত, সমৃদ্ধ হবে, যখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। ছয় লাখ প্রতিবন্ধীকে মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এতিমদের দায়িত্ব সরকারের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারে এসেছি, মানুষের সেবা করতে, সমাজের সেবা করতে। এতিমদের টাকা চুরি করা বা এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আসি নাই। আমরা এতিমদের দিতে এসেছি। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক এবং সরকারি শিশু পরিবারের কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব তরিকুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির। পরে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

সর্বশেষ খবর