শিরোনাম
রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভারতে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, নিহত ৮

কলকাতা প্রতিনিধি

ছরের শুরুতেই জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠল ভারত। গতকাল গভীর রাতে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায় ছয় জঙ্গি। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা গোলাগুলির পর পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর তিন জওয়ানও। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ছয় জওয়ান।

দেশটির বিমান বাহিনী জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে পাঠানকোটে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে ছয় জঙ্গি। এরা সবাই সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিল। ঢুকেই ঘাঁটির যে অংশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রাখা থাকে সে দিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের সদস্যরা। হামলার দায় কোনো জঙ্গি সংগঠন স্বীকার না করলেও পাক মদদপুষ্ট জৈশ ই মহম্মদই এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই জঙ্গির খোঁজে এখনো সেনা অভিযান চলছে পাঠানকোট জুড়ে। এই অভিযানে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টারও। ৩১ ডিসেম্বর রাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ওই জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে। দুই দিন আগে সীমান্ত লাগোয়া গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপারকে অপহরণের ঘটনাতেও এই জঙ্গিরাই জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পাকিস্তানের নাম না করেও ইসলামাবাদকে বার্তাদিতে চেয়েছেন তিনি। রাজনাথ এ দিন বলেছে, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু ভারত জঙ্গি হামলার শিকার হলে তার যোগ্য জবাবই দেওয়া হবে।’ ওই হামলায় আর্মি, আধাসামরিক বাহিনী এবং পাঞ্জাব পুলিশের নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াইয়েরও প্রশংসা করে রাজনাথ সিং বলেন ‘দেশ আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী এবং জওয়ানদের লড়াইয়ে গর্বিত’।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা করছে দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা। দিন দশেক বাদে পাকিস্তানে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসার কথা দুই দেশ। তার ঠিক আগেই এই হামলা ওই উদ্যোগকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে পাঠানকোটে জঙ্গি হামলার পরপরই দেশটির রাজধানী দিল্লির নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ভিআইপি জোনসহ অন্যান্য জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন দেওয়া হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি পাঞ্জাব, দেরাদুনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গিদের ধরতে জম্মু-পাঠানকোট হাইওয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

সর্বশেষ খবর