শিরোনাম
শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

কুমিল্লা ও বগুড়ায় দুই যুবলীগ নেতা নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও বগুড়ার সান্তাহারে দুই যুবলীগ নেতা খুন হয়েছেন। কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার পদুয়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল হোসেন উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলার একই ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। কিছু লোকের সঙ্গে তার রাজনৈতিক বিরোধ ছিল বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ি ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত পদুয়া রাস্তার মাথায় তাকে একা পেয়ে ঘিরে গুলি চালায়। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ইব্রাহিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পায়ের রগ কাটা এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জামাল হোসেনকে উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. ফরহাদ জানান, পুলিশ রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে তার লাশ থানায় নিয়ে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এখনো জানা যায়নি, তবে পূর্বশক্রতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া জানান, বগুড়ার সান্তাহারে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থক শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। তাদের মধ্যে বাশেদুল ইসলাম বাদশা (৩৬) নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সান্তাহার শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, সান্তাহার অটো টেম্পো মালিক শ্রমিক সমিতি ও ব্যাটারিচালিত চার্জার মালিক শ্রমিক সমিতির মধ্যে গত দুই দিন ধরে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল দুপুরে শহরের সিএসডি গেটের সামনে উভয় দল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বেশকিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে এবং প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শফিকুল ইসলাম ও বাশেদুল ইসলাম বাদশা নামের দুই সহোদর গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে শফিকুল ইসলাম মারা যান। শফিকুল সান্তাহার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে নুর ইসলাম, মতিউর রহমান টিটু, সজল, সোহাগকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে। উত্তেজিত শ্রমিকরা জাতীয় পার্টির অফিস, জাতীয় পার্টির সভাপতি মিলনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমনের বাড়িসহ চার্জার মালিক সমিতির অফিস ও জাতীয় পার্টি নেতা শিবলির বাড়িতে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় সান্তাহার এলাকা থেকে আবদুল লতিফ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর