মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঐতিহ্য হারানোর জন্য দায়ী বৈষম্য

জামাত খান

ঐতিহ্য হারানোর জন্য দায়ী বৈষম্য

এক সময় রাজশাহীর সিল্ক দেশ ও দেশের বাইরে আলো ছড়িয়েছে। সেই শিল্প এখন ধুঁকছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাজশাহীর রেশম কারখানা। টেক্সটাইল মিলটিও বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে রেশম কারখানাসহ অনেক শিল্প-কারখানা। অবহেলা ও বৈষম্যের কারণেই রাজশাহী হারিয়েছে তার ঐতিহ্য। অর্থনীতিতে এ অঞ্চলের ‘মন্দাদশা’র জন্য সরকারগুলোর সমালোচনা করে কথাগুলো বলেছেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান।তিনি বলেন, এ অঞ্চলের উন্নয়নে বন্ধ শিল্প-কলকারখানা চালু এবং পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ অপরিহার্য। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপিত হবে। পাশাপাশি রুগ্ন শিল্প-কারখানাও হবে পুনরুজ্জীবিত। এতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। জামাত খান বলেন, ‘এমনিতেই রাজশাহী অঞ্চলের অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। যেগুলো চালু আছে, সেগুলোর অবস্থাও করুণ। যদি নিবিড় তত্ত্বাবধানে আবার চালু করা যায়, তা হলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।’ রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বাড়ছে। আমরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছি উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য। সরকার নীতিগতভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বাড়ছে। প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি উপজেলা ইতিমধ্যে মরুকরণের দিকে এগিয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তানোর, গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মরুভূমিতে পরিণত হবে। তাই সরকারের উচিত দ্রুত উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েও এখনো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাজশাহীর মানুষ বঞ্চিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর