শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

অবকাঠামো তৈরি হলে বিনিয়োগ বাড়বে

-------কাজী আমিনুল হক

অবকাঠামো তৈরি হলে বিনিয়োগ বাড়বে

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনাময় খুলনা-মংলা জোন। কিন্তু বিমানবন্দর, গ্যাস সরবরাহ না থাকা, মংলা বন্দরের পর‌্যাপ্ত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে বিনিয়োগকারীরা এখানে আগ্রহী হন না। ফলে বিনিয়োগ-উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলতে মংলা বন্দরকে এমন পর্যায়ে নিতে হবে, যার মাধ্যমে ভারত, নেপাল, ভুটানে সহজে যাতায়াত করা যায়। একই সঙ্গে মংলা থেকে প্রস্তাবিত রেললাইনও যেন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে দ্রুত এ ধরনের অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেসিসিআই) সভাপতি কাজী আমিনুল হক। এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, খুলনায় গ্যাসলাইন থাকলে পণ্যের উত্পাদন খরচ অনেক কমে যেত। তখন ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে উত্পাদন খরচের তুলনামূলক বিবেচনা করে এখানে কল-কারখানা নির্মিত হতো। এ ছাড়া বিমানবন্দর না থাকার কারণে যশোর হয়ে মানুষকে খুলনা ও মংলায় আসতে হয়। সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনীহার সৃষ্টি হয়। এ কারণে মংলা বন্দরও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খুলনা চেম্বার সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মংলা বন্দরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কয়েক দফায় ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এর পরও বন্দরে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নত ব্যবস্থা চালু করতে আরও কাজ করা দরকার। একই সঙ্গে খুলনায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, গড়ে তুলতে হবে পর‌্যাপ্ত কল-কারখানা। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুফল আসবে। এর পরও বিমানবন্দরের প্রয়োজন থেকেই যাবে। একনেকে বিমানবন্দরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও এক বছরেও দৃশ্যমান কোনো কাজ সেখানে হয়নি। মংলা বন্দরকে গতিশীল করতে বন্দর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীপথের ড্রেজিং করতে হবে। এতে সব ধরনের পণ্যের পরিবহন খরচ কমে যাবে এবং সময় সাশ্রয় হবে। কাজী আমিনুল হক বলেন, খুলনাকে বিনিয়োগবান্ধব করতে হলে দ্রুত গ্যাস, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিমানবন্দর, মংলা বন্দরের উন্নয়নসহ অবকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। আছে অনেক মাছ কোম্পানি। তারা রপ্তানি খাতে অবদান রাখতে পারছে। তবে পাট রপ্তানির ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। কাঁচা পাট রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে বিদেশি ক্রেতা হারাতে হবে। বাধ্যবাধকতা দিয়ে সীমিত আকারে হলেও কাঁচা পাট রপ্তানি হওয়া দরকার।

সর্বশেষ খবর