ফেনী-৩ (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা) আসনের সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) হাজী রহিম উল্লাহর গাড়ি বহরে ফের হামলা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা যাওয়ার পথে সোনাগাজী জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় এমপির গাড়ি বহরের একটি মাইক্রোতে হামলা করে। এ সময় সোনাগাজী থানার ওসি তদন্ত মেজবাহ উদ্দিন ও এক কনস্টেবলসহ ১০ জন আহত হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে জসিম, শুক্কুর, হেঞ্জুর নাম পাওয়া গেছে। তাদের উপজেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। এমপি রহিম উল্যাহ জানান, এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে ঢাকা যাওয়ার সময় ১৫-২০ নেতা-কর্মী পুলিশের উপস্থিতিতে গাড়ি বহরে হামলা করে। হামলায় সোনাগাজী থানার ওসি তদন্ত মেজবাহ উদ্দিনসহ এমপির ৭-৮ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, সোনাগাজী থানার ওসি তদন্ত মেজবাহ উদ্দিন ও এক কনস্টেবল মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফেনী সার্কিট হাউসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে যুবলীগ নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হন জেদ্দা আওয়ামী লীগ সভাপতি রহিম উল্যাহ এমপি। এরপর থেকে তার ওপর ধারাবাহিক হামলা শুরু হয়। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর তিনি সোনাগাজী যাওয়ার পথে ফেনীর লালপুল ও সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে তার গাড়ি বহরে হামলা করে ছাত্রলীগ নেতারা। ২০১৫ সালে ২১ এপ্রিল সোনাগাজী উপজেলার চরসাহাভিখারী গ্রামে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুলিশের গাড়িতে হামলা করে। ৯ মে সোনাগাজী উপজেলার সাড়ে চৌদ্দশ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পণ্ড করে দেন। ২৯ মে সোনাগাজী জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীরা হামলা করে।
