শিরোনাম
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

হাতি চলাচলে বাংলাদেশ-ভারত করিডর

প্রতিদিন ডেস্ক

হাতির অবাধ যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি হাতি করিডর তৈরির চেষ্টা চলছে। দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর এখন চলছে হাতির চলাচলের মানচিত্র তৈরির কাজ। এরপর দুই দেশের আলোচনার পর হাতির চলাচলের জায়গাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হতে পারে নেপাল-ভুটানকেও। খবর বিবিসির। বাংলাদেশের সদ্য অবসর নেওয়া বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী অঞ্চল) ড. তপন কুমার দে বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা দিয়ে আগে হাতি নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পর হাতির চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। ফলে অনেক হাতি সেখানে আটকে যাচ্ছে, মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষেও মারা পড়ছে। এ সমস্যা সমাধানে কয়েক মাস আগে ভারতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কলকাতায় একটি বৈঠক হয়। সেখানেই হাতির অবাধ যাতায়াতের জন্য করিডর গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে হাতি চলাচলের মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে দুই দেশের বন বিভাগ। কোন পথ দিয়ে হাতি আসে, কোন পথে তারা ফিরে যায়, কোথায় থাকে ইত্যাদি বিষয় এই মানচিত্রে নির্ণয় করা হবে। মানচিত্র তৈরির পর দুই দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। সে অনুযায়ী সীমান্তের ওই এলাকাগুলোর কাঁটাতার সরিয়ে হাতি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। ড. তপন কুমার দে জানান, হাতি করিডর তৈরির জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপত্তি নেই বলেই জানানো হয়েছে। তবে কাঁটাতার যেহেতু ভারত দিয়েছ, এ বিষয়ে তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সম্প্রতি অবসর নিলেও এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তপন কুমার দে। তিনি বলেন, এ বছর জুন মাসের মধ্যেই মানচিত্র তৈরির কাজটি শেষ হয়ে যাবে। চলতি বছরের মধ্যেই একটি সমঝোতা গঠন হবে বলে তারা আশা করছেন। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার সীমান্ত এলাকা  থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০০ হাতি চলাচল করে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রায়ই সীমান্ত এলাকায় মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং ফাঁদে পড়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে হাতি করিডর চালু হলে এই মৃত্যু বন্ধ হবে বলে বন কর্মকর্তারা আশা করছেন।

সর্বশেষ খবর